পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ ভাগ 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৫৪ স্ত্রীকবি হেমপ্রভা হবিগঞ্জের অন্তর্গত ষাটিয়াজুরি নিবাসী মুনসেফ শ্রীযুক্ত উপেন্দ্রকুমার কর বি এল মহাশয় ইহার স্বামী। স্বগীয় উকীল শরৎচন্দ্র দত্ত ইহার পিতা ছিলেন। ইনি “বামাবোধিনী” পত্রিকাতে প্রায়ই সুন্দর কবিতা লিখিতেন। গত ১৩২০ বাং বৈশাখ মাসে ২৫ বৎসর বয়সে ইনি পরলোকগত হইয়াছেন। হরনাথ চক্রবর্তী হরনাথের বাসস্থান হবিগঞ্জের অন্তর্গত বেকিটেকার আসেরা গ্রাম। হরনাথ পণ্ডিত ব্যক্তি ও শিবোপাসক ছিলেন। শিবমন্দিরে প্রবিষ্ট হইয়া শিবকীৰ্ত্তন করাই উপাসনার অঙ্গ বলিয়া বোধ করতঃ তাহাতেই রত থাকিতেন। তিনি গঞ্জিকা ও মদ্য গ্রহণে কুষ্ঠিত ছিলেন না; কিন্তু তজ্জন্য তিনি অশ্রদ্ধাভাজন ছিলেন না; মহাত্মা বলিয়া লোকে তাহাকে ভক্তি করিত। লাতুর পাশ্ববৰ্ত্তী চালদিয়া পল্লীতে র্তাহার মাতুলালয় ছিল, তথাকার গোপীমোহন নামক এক ব্রাহ্মণতনয় তাহার বাড়ীতে থাকিতেন। বর্ষাকালে সেই অঞ্চল জলপ্লাবিত হইলে এক সময় তাহার শিবমন্দিরের ৩০ হস্ত আন্দাজ উত্তরে বনান্তরালে তিনি মলত্যাগ করিয়াছিলেন। রাত্রে আহারান্তে শয্যায় যাইতে গোপীমোহন দেখিলেন যে একটা শৃগাল গৃহমধ্যে প্রবিষ্ট হইল। ঘরে বাতি ছিল, গোপীমোহন তৎক্ষণাৎ প্রবিষ্ট হইয়া কোথাও শৃগালকে দেখিতে পাইলেন না। তখন নিশ্চিত মনে শয়ন করিলেন। কিন্তু নিদ্রাবেশ হইলে, শৃগালে যেন তাহার গলদেশ কামড়াইয়া ধরিয়াছে এইরূপ স্বপ্নদৃষ্টে জাগিয়া গেলেন ও পাশ ফিরিয়া শুইলেন; এবারও পুনঃ সেই স্বপ্ন। তখন জাগিয়া “উবুড়” হইয়া শুইলেন, কি জঞ্জাল! এবারও তদুপই দংশন স্বপ্ন! এবার আর তিনি শুইলেন না, উঠিয়া বাহিরে আসিলেন। তখনও অধিক রাত্রি হয় নাই, দেখিলেন হরনাথ বারান্দায় বসিয়া রহিয়াছেন। রাগিণী—আহিরী। “(সেই তোর কি দোষ কেল রে জানম, মুই তোর কি দোষ কৈল ?) আরজু ফরদম (রুহ-এ) তু দিদম্ (তন মন পাগল ভৈলু) হামচুঞ্চমজনুবাহরে তু লেয়লি (ভাবিয়া ব্যাকুল হৈলুরে জানম্) ইমরুজ ফজরে দিলবরে জানম (আসিবার বলিয়া গেলে!) রুজ শুমাপ্ত কাম রসিদা আফতক (তুই ঘরে না আইলে রে জানম্) চসমে চু আই চিনি বুদবুদ, চান্দানে চুদানে আনার এসকে তোমরা মারানামুদি (কলুবাবা) (চিত্তে ধইলু) (শালে মূল গয়ের তরেহিম রওসন) (মুই তোর অস্ত না পাইলু রে জানম্) (লাতক না তুমির বহমতুল্লাহে) কুতুবে মান্দামে (হিয়া) হিন্নাল্লা ইনফেরু জনুবা) (ভুলিয়াছনি তুমি) বা জানম (মুই তোর কি দোষ কৈলু?)" এই সঙ্গীতটি বাঙ্গালা,পাবস্য, হিন্দি,আরবি, সংস্কৃত প্রভৃতি ভাষার শব্দ সংযোগে রচিত।() বন্ধনী মধ্যস্থ পদবাঙ্গালায় লিখিত, “+” চিহ্নিত শব্দগুলি হিন্দি : + চিহ্নিত নাম দুইটি প্রেমিক প্রেমিকার। ইহাদের অর্থাৎ মজনু ও লেয়লির প্রসঙ্গে এই আধ্যাত্মিক সঙ্গীত রচিত হয়। “+” চিহিন্ত শব্দ সংস্কৃত এবং () বন্ধনী মধ্যস্থ পদগুলি আরবি বাকি সমস্ত পারস্য ভাষায় লিপিত। বামশ্রীর সৈয়দ শ্রীযুক্ত সাজিদুর রহমান সাহেব হইতে ইহা প্রাপ্ত হইয়াছি।