পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৬০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ ভাগ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৭৬ অস্থি সন্ধি আলগিয়া গিয়া হস্তপদ যেরূপ বিস্তারিত হইয়া থাকে, জালিক তাহাই বলিতেছে ইনি তাহাদেরই প্রাণের আরাধ্য দেবতা। তখন তাহারা জালিকাকে প্রকৃতিস্থ ও ভয়বিহীন করিয়া সেই স্থানে লইয়া গেলেন ও প্রভুকে প্রাপ্ত হইলেন। ভক্তগণ র্তাহার আর্দ্র বস্ত্র দূর করিয়া কর্ণে কৃষ্ণ ধবনি ও কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন; তৎশ্রবণে র্তাহার চেতনা হইল ও তিনি ভক্তবর্গসহ বাসায় আসিলেন। এই দিন হইতে ভক্তগণ র্তাহার শয়নের এক ব্যবস্থা করিলেন; তিনি যেন ভাবের আবেশে গৃহের বাহির হইতে না পারেন, এইরূপ বন্দোবস্ত করিলেন; শঙ্কর প্রভুর পায়ের নীচে শয়ন করিতেন, ইহাতে “প্রভু পদোপাধান” বলিয়া শঙ্করের উপনাম হইয়াছিল। এই ব্যবস্থার পর আর শ্ৰীমহাপ্রভু বাহিরে চলিয়া যাইতে পারেন নাই। এইরূপ নিৰ্জ্জনে শ্রীচৈতন্যদেব ৪৮ বৎসর বয়সে কৃষ্ণপ্রেমে বিহুল হইয়া একদিন শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করিলেন। সেই যে গেলেন, আর তিনি ফিরিয়া আসিয়া ভক্তগণকে আনন্দ দান করিলেন না, আর তিনি “হা কৃষ্ণ!” বলিয়া ক্ৰন্দন কি প্রলাপ করিলেন না। জগতে নিমাইয়ের জন্ম দিন, সেই একদিন, আর এই একদিন—১৪৫৫ শকের আষাঢ় মাসের সপ্তমী তিথি। তাহার পর আর কিছু বলিব না। প্রভু যান নাই, আজিও আছেন, যে তাহার বিচিত্র কাহিনী, ইহা ভাবিয়া এস ভাই, সকলে জীবন পবিত্র করি; ইহাতে এসব কথা প্রত্যক্ষবৎ নয়নসমক্ষে প্রতীয়মান হইবে, তাহাকে দর্শন করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হওয়া যাইবে। “অদ্যাপিও সেই লীলা করে গৌর রায়। কোন কোন ভাগ্যবান দেখিবারে পায়।” —শ্রীচৈতন্য ভাগবত। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত উত্তরাংশে চতুর্থভাগ। সমাপ্ত ইতি শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত উত্তরাংশ সম্পূর্ণ। সমাপ্তোয়ং গ্রন্থঃ । সৰ্ব্বমিদং শ্রীগৌরাঙ্গ সমৰ্পিতমস্তু। ৩০শে চৈত্র—১৩২০ বাংলা ।