পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-প্রথম খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৪৮ শিরোমণির ধৰ্ম্মপ্রচার—মণিপুরে ন্যায়বাগীশের জ্ঞাতি সম্পর্কিত, অন্যদীয় ভ্রাতুষ্পপুত্রের নাম রামনারায়ণ শিরোমণি। ইনি নবদ্বীপে অধ্যয়নান্তর শিরোমণি উপাধি লাভ করেন। রামনারায়ণ শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পরম ভক্ত ছিলেন এবং প্রায়শঃ শ্ৰীমদ্ভাগবত পাঠ করিতেন। এই সময়ে মণিপুরাধিপতি চিংথোং খোম্বা হিন্দুধৰ্ম্মে আস্থাবান হন এবং মহাপ্রভু দর্শনে ঢাকাদক্ষিণে তিনি আগমন করিয়াছিলেন। মহারাজের আগমন দিনে শিরোমণি শ্ৰীমদ্ভাগবত পাঠের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, মহারাজ শিরোমণির সুশ্রাব্য সংস্কৃত উচ্চারণ ও ব্যাখ্যাদি শ্রবণে পরম আনন্দিত হইলেন।” প্রত্যাগমনকালে মণিপুরের সৰ্ব্বসাধারণ বৈষ্ণবধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম অবগত হয়। শিরোমণিকত্ত্বক একটি জাতি বৈষ্ণবধৰ্ম্মে আস্থাবান হইয়া উঠিয়াছিইহা তাহার বংশোপযোগী হইয়াছিল। ১৭১৫ খৃষ্টাব্দের পরে মহারাজ চিংথোং খোম্বা মণিপুরের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। এই সময় হইতেই মণিপুরীদের সৌভাগ্য যুগের উদয় হইয়াছিল। মহারাজ চিংথোং খোম্বা শ্রীমন্দিরে ব্যবহারার্থ শিরোমণির সহিত ৫ মণ ওজনের একটা বৃহৎ কাংস্য ঘণ্টা দিয়াছিলেন; শ্রীবিগ্রহের ভোগ ও সন্ধ্যা আরতি কালে উহা নিনাদিত হইত। প্রায় ৮০/৯০ বৎসর হইল, পাহারাদারের মশাকে গ্নিতে ঠাকুরবাড়ীর কাচা নাটমন্দির দগ্ধ হয়, তৎসহ ঘণ্টাটিও গলিয়া নষ্ট হইয়া যায়।” পরশুরাম পণ্ডিত শিরোমণির পুত্রের নাম পরশুরাম; ইনি পিতার ন্যায় সুপণ্ডিত ছিলেন। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সময়ে (৮ জলুস ৭ রজব) ১৭৬৮ খৃষ্টাব্দে শ্রীহট্টের নবাব মোহাম্মদ আলী খাঁ বাহাদুর ঢাকাদক্ষিণের আমকোণা মৌজা হইতে ১৫ খানা বাড়ী ও টালা প্রভৃতিতে ৩০/হাল ভূমি ইতাকে ব্ৰহ্মত্র দান কবেন। পরশুরাম দেশের ধনী ব্যক্তিবর্গের বিশেষ অনুরাগভাজন ছিলেন এবং অর্থ সম্পত্তিও প্রচুব উপাৰ্জ্জন করেন;এমন কি তাহার বংশে তিনি “লাখিপরশুরাম” নামে খ্যাত হইয়াছিলেন। কলা বিদ্যায়ও তাহার বিশেষ অনুরাগ ছিল, তাহার নিৰ্ম্মিত মৃৎপ্রতিমা লোকে আগ্রহ করিয়া দেখিতে আসিত। তিমি, মোমম্বারা রাধাকৃষ্ণের সুন্দর যুগলমূৰ্ত্তি প্রস্তুত ক্রমে কাশীতে লইয়া গিয়া কারিগর দ্বারা সেই আদর্শে প্রথম ব্যক্তি রামজীবন সুত, দ্বিতীয় জন জনাৰ্দ্দন-পুত্র, কিন্তু ইহাই আশ্চৰ্য্য যে মনঃসন্তোযণীতে জগজ্জীবনের পিতাল নাম স্থলে উক্ত উভয় নামই দেখিতে পাওয়া যায়। ইহা লেখকের ভুলবশতঃও হইতে পারে। তাহা না হইলে প্রথম রামজীবনের নামাস্তব জনাৰ্দ্দন ছিল বলিতে হইবে এবং পরবর্তীকালে পূৰ্ব্বপুরুষ (উক্ত কৃতিব্যক্তি) দের স্মরণে দ্বিতীয় রামজীবন, তাহার পুত্র ও পৌত্রের নাম রাখা হইতেও পারে। ইহা বিচিত্র নহে এবং পূৰ্ব্বপুরুষের নামে ঈদৃশ নাম রাখার বহু উদাহরণ এই গ্রন্থেরই বহু বংশ তালিকায় দুষ্ট হইবে। আমরা পূৰ্ব্বে যে মিশ্রবংশ তালিকা পাইয়াছিলাম, তাহা বিশুদ্ধ ছিল না। জগজীবন ২০০ বর্ষের প্রাচীন হইলে তিনি প্রথম জগজীবন সন্দেহ নাই। “সঙ্গিনী" পত্রিকায আমরা মনঃসন্তোষণী মুদ্রিত করিয়াছিলাম। ৩০. শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য ভাগ ৫ম খণ্ড ১ম অধ্যায়ে মণিপুর রাজের শ্রীহট্টাগমনের উল্লেখ আছে। ৩১ খ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পুনর্বাংশ ১ম ভাগ ৮ম অধ্যাযে চিংথোং খোস্বার সময়ে মণিপুরের প্রচারের কথা বর্ণিত হইয়াছে। rBB BBB BBB BBB SBBB BBBB BD BB BBB BBBB BBSBBBBB BBBS BBB BBB প্রকাশ কবিয়াছি। তাহতে প্রাসঙ্গিক শিরোমণিল মণিপুল গমন কথাও বর্ণিত হইয়াছে।