পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯ তৃতীয় অধ্যায় ; উপেন্দ্র বংশ বর্ণন 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত শ্ৰীমহাপ্রভুর বাড়ীতে রাজা, দেওয়ান প্রভৃতি গমন করিতে আরম্ভ কবিলে তাহাদের প্রদত্ত অর্থ যে প্রচুর আয়ের পন্থা স্বরূপ হইয়াছিল, তাহা বলা বাহুল্য। মিশ্রবংশে পূৰ্ব্বাবধি পৰ্য্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট আগমন ঘটিত, তিনিই বিশেষ লাভবান হইতেন। ইহাদের প্রদত্ত অর্থে যাহাতে সকলে বঞ্চিত না হন, তজ্জন্য অতঃপর মিশ্রবংশীয়গণ মধ্যে এক দলিল সম্পাদিত হয়, তাহাতে জানা যায় যে, শ্রীহট্টের কোন কোন নবাবও দেবদর্শনে আগমন করিতেন।” উক্ত দলিলে পরশুরাম প্রভৃতি যাহাদের নাম আছে, তাহারা সকলেই পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন এবং পরস্পরে ভ্রাতৃ-সম্পর্কিত ছিলেন। কমলাকান্ত জনাবদার ইহাদের জ্ঞাতি সম্পর্কিত ভ্রাতুষ্পপুত্র মাধব তর্কচূড়ামণি ও কমলাকান্ত। কমলাকান্ত একজন সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন,নবাব সহকারে তাহার “জনাবদার” উপাধি ছিল। নিজ গুণ-গৌরবে তিনি নবাব নোয়াজিস মোহাম্মদ খাঁর নায়েব আচল সিংহইল ৬ জলুস ১ শরফ তারিখযুক্ত এক সনদে (নং ৮১০ খৃঃ) পং বরায়া হইতে ২৭২tহ ভূমি দান প্রাপ্ত হন (১৭৫৯ খৃঃ);আর এক সনদে নবাব এক্রামউল্লা খাঁ বাহাদুর তাহাকে প্রায় ৩০/ হাল ভূমি দান করেন।“ এই ভূমি ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দের পরে তৎপুত্র আনন্দরামের “তছরূপ” ছিল। কমলাকান্ত ও হেড়ম্বেশ্বর রতিকান্ত তর্কসিদ্ধান্ত কমলাকান্তের জ্ঞাতি সম্পর্কিত ভ্রাতুষ্পপুত্র। ইনি স্মৃতি ও ন্যায়শাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন। মঙ্গলবাবা নামক এক পশ্চিমা রামায়েত শ্ৰীমহাপ্রভুর বাড়ীতে অবস্থিতি করেন। মঙ্গলবার বেদজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন;রতিকান্ত ইহাকে প্রাপ্ত হইয়া ইহার কাছে সে অধ্যয়ন করেন। ৩২. উক্ত দলিলের অবিকল প্রতিলিপি এই ৪— ইং খ্ৰীসিবরাম পণ্ডিত গং ও শ্রীপকশরাম পণ্ডিত ও শ্ৰীকেশবরাম পণ্ডিত গং ও শ্রীধাতুরাম পণ্ডিত অস্য সময় কবায় পত্র মিদং কাজ্জঞ্চ আগে আমরা সকলে জমাবদ্ধ (একত্র) ইহআ সময় করিলাম, ঠাকুর সেবায় আমরায় . যে বাবি (পালা) আছিল তাতে নবাব ও বৈষ্ণব (প্রভৃতি) ও দুৰ্ল্লভ দাসেব নিজ ঘর ও তান সঙ্গে জে আইসেন সকলর ববান (এজমালি)। আর দুৰ্ল্লভ দাসব ইথানর (অর্থাৎ ঐ স্থানের) মুহন মালা ও লগুণ ( সোনার মোহন মালা ও স্বর্গ উপবীত) গৈয়র ও খতে যে পাইছি এব (ইহা) বাৰ্টীয়া (বিভাগ করিয়া)। লৈমু এতে বেৰ্ত্ত কোন অজাউত তাফাউত (?) করি স্বগীয় গুনাগার এতধত্তে সময়কাব পত্র লিখিয়া দিলাম। ইতি ১১৬৬ সাল বাং তাবিখ ১১ আষাঢ়। (দলিলের দক্ষিণ পাশ্বে দস্তখত—“শ্ৰীখতুরাম শৰ্ম্মণঃ " দলিলেক গর্ভে শেষোক্ত তিন নাম না থাকিলে স্বাক্ষর স্থলে আছে () চিহের ভিতরকার শব্দার্থগুলি আমাদের প্রদত্ত। দলিলেব লিখিত দুৰ্ল্লভদাস ধনী ব্যক্তি ছিলেন, উহাব কথা পববৰ্ত্তী ২য খণ্ড ৪র্থ অধ্যাযে উক্ত হইবে:ইনি শ্রীহট্টে নবাবি পাইয়াও তাহা গ্রহণ করেন নাই বলিয়া জানা যায়। এই দলিল হইতে বুঝা যায মহাপ্রভুর মন্দিরে তাহার নিরূপিত দানের বরাদ্দ ছিল এবং তাহা কোন “খত” বা দলিল লিখিত ছিল।) ৩৩ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পুৰ্ব্বাংশ ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৪র্থ অধ্যায়ে নাযেব আচল সিং এবং নবাব এক্রামউল্লা খাবাহাদুবের সময় নির্দেশকবা হইয়াছে। ২জলুস ২রজবতাবিখ যুক্ত সনদ (নং৮১৯) শেষোক্তনবাব কর্তৃকপং ঢাকাদক্ষিণ হইতে ১১/১৬ ফুরকাবাদ হইতে ২৷এবং পংহইতে ১৬ভূমি প্রদত্ত হয।জলুস অর্থেদিল্লীব বাদশাহের রাজত্ব সময় অর্থাৎ ঐসময় যিনি সম্রাট ছিলেন, তাহার রাজত্বের ২য় বসে উহা প্রদত্ত হয়। উক্ত ভূমি পরে “কমলাকাস্তের ছেগা”নামে বন্দোবস্ত তহয়। “তছরূপ" অর্থাৎ ভোগদখলে থাকা।