পাতা:শ্রীহরিনাম চিন্তামণি - ভক্তিবিনোদ ঠাকুর.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাৰ সাধনে পঞ্চদশা, । এই একাদশ ভাব সম্পূর্ণ সাধনে । পঞ্চদশ লক্ষ্য হয়। সাধক জীবনে ॥ সম্পত্তি এ পঞ্চবিধ দশায় গণন (১৮) ৷ শ্রবণ বরণ আর স্মরণ আপন । ব্ৰজেন্দ্র নন্দনে ৷” যাহার উজ্জ্বল রস সাধিতে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি তিনি ব্রজের গোপী আনুগত্য স্বীকার অবশ্য করিবেন । জীব পুরুষভাবে শৃঙ্গাররসের অধিকারী হন না। ব্ৰজগোপী স্বরূপ লাভ করিলে কৃষ্ণ ভজনা হয় । একাদশ প্রকার ভাবগ্ৰহণ করিলে ব্ৰজগোপীত্ব লাভ হয়। ১ সম্বন্ধ, ২ বয়স ৩ নাম ৪ রূপ ό. যথ প্রবেশ ৬। বেশ, ৭ আজ্ঞা ৮ বাসস্থান, ১ সেবা, ১০ পরাকাষ্ঠা ১১। পাল্যদাসীভাব। সাধক জগতে যে , আকারে থাকুন না কেন হৃদয়ে এই একাদশটি ভাবগ্ৰহণ পূৰ্ব্বক ভজন করিবেন। (২৮) এই একাদশভােব সাধন কার্ঘ্যে সাধকের পাঁচটী দশ ক্রমশঃ উদয় হয় । শ্রবণদশা, বরণদশা, স্মরণ দশা, আপনি দশা, ও সম্পত্তিদশা । সেই গোপী ভাবা মৃতে যার লোভ হয় । বেদ ধৰ্ম্মত্যজি সে কৃষ্ণকে ভজয় | ব্ৰজলোকের কোন ভাবলঞা বেই ভজে । ভাবযোগ্য দেহপাঞা কৃষ্ণ পায় ব্ৰজে ৷ এই বাক্য দ্বারা রায় রামানন্দ এই কথা শিক্ষা দেন যে উজ্জ্বল রস সাধিত হইলে সাধকের গোপীী:দহ প্ৰাপ্তির আবশ্যক । কৃষ্ণলীলা শ্রবণ করিয়া যখন এই ভাবে রতি হয়, তখন উপযুক্ত সদগুরুর নিকটে সেই ভাব শিক্ষা করিতে হয়। শ্ৰী গুরুর মুখে তত্ত্ব শ্রবণই সাধকের শ্রবণদশা। সাধক ব্যাকুল হইয়া সেই তত্বাগত ভাব Digitized at BRCindia.com