পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शर्ष अक्षांव । SNCS পদ্মাবতীর স্বরে বলিলেন “আপনি বেড়া বাধিতে থাকেন। আমি আপনার কাৰ্য্যে সাহায্য করির । আমি পিতার বাড়ীতে এ সব কাৰ্য্য শিক্ষা করিয়াছি।” জয়দেব তাহাতে আপত্তি করিলেন না । পরে যখন * পদ্মাবতী অন্তস্থান হইতে আসিলেন, তখন উভয়ে গৃহমধ্যে প্রবেশ পূৰ্ব্বক দেখিলেন রাধামাধবের সর্বাঙ্গে কালির বুলি রহিয়াছে। ইহাতে জয়দেব ও পদ্মাবতী প্ৰেমা শ্রী বর্ষণ করিয়া গদগদ ভাবে কাদিতে 65igठन । অন্ত একদিন জয়দেব মানভঞ্জনের “স্মরগরল খণ্ডনং মম শিরসি মণ্ডনং” • এই পৰ্য্যন্ত লিখিয়া আর লিখিতে পারিতেছেন না । ততার পর “রাধিকার চরণ শ্ৰীকৃষ্ণ মস্তকে ধারণ করিলেন” এ কথা কেমন করিয়া লিখিবেন, কেবল ইহাই চিন্তা করিতেছেন । শেষে বুদ্ধি স্থির করিতে না পারিয়া স্নান করিতে গেলেন। এদিকে শ্ৰীকৃষ্ণ জয়দেবের মূৰ্ত্তি ধারণা করিয়া গৃহে প্ৰবেশ করিলেন এবং “দেহি পদ পল্লবমুদারিং” এই চরণ লিখিয়ু পদটি শেষ করিলেন । জয়দেব স্নান করিয়া আসিয়া দেখিলেন, পদটি সম্পূর্ণ হইয়াছে। জয়দেব পদ্মাবতীকে জিজ্ঞাসা করিলেন “দেহি পদ পল্লবমুদারম” এ কথা লিখিয়া কে এই পদ সম্পূর্ণ করিল ?” * পদ্মাবতী বলিলেন “এই না ঠাকুর, তুমি বসিয়া লিখিতেছিলে ?” তখন জয়দেব বুঝিলেন যে ইহা রাধামাধবের কাৰ্য্য এবং পদ্মাবতীরও বুঝিতে কিছু বাকী রহিল না। জয়দেব তখন দুঃখিত চিত্তে ক্ৰন্দন করিতে করিতে পদ্মাবতীকে বলিলেন ‘পদ্মা, তোমার ভাগ্য সুপ্ৰসন্ন বলিয়াই স্বামী ভাবে তাহার দর্শন পাইলে । আমার অদৃষ্ট নিতান্ত মন্দ, তাই তাহার দর্শনে বঞ্চিত হইলাম।” জুন্নদেব গােস্বামী “গীতগোবিন্দ” রচনা করিয়া, গীতিকুল্‌ব্য জগতে অতুলনীয় কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়ুছেন ।। জয়দেবের * দশাবতার স্তোত্র’ ও