পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায় । y (f হইয়া সার্বভৌম উপাধি লাভ করতঃ নবদ্বীপে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন পূর্বক ন্যায়ের টোল সংস্থাপন করেন । অসাধারণ ধীশক্তি সম্পন্ন বাসুদেব সার্বভৌম “সার্বভৌম নিরুক্ত” নামক একখানি গ্ৰন্থ রচনা করিয়া ছিলেন । রঘুনাথ শিরোমণি, রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য প্ৰভৃতি ছাত্রবৃন্দ তাহার নিকট বিদ্যা শিক্ষা করেন । এই রঘুনন্দন শিরোমণি, রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য ও কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের সঙ্গাধ্যায়ী ছিলেন । ঈশান, তৎপুত্ৰ বিহ্ব্যন্মালী, তৎপুত্ৰ হরিহর, তৎপুত্র রামকান্ত, তৎপুত্র রামচত্র, তৎপুত্ৰ গোবিন্দ। এই গোবিন্দের রঘুপতি ও রঘুনাথ নামে দুইটী পুত্র ছিল । ইহাদের মাতার নাম রঘুনাথ শিরোমণি । সীতাদেবী। রঘুনাথ শ্ৰীহট্টদেশে পঞ্চখণ্ডে জন্মগ্রহণ করিয়া নবদ্বীপের পাঠ সমাধা অন্তে মিথিলার মহা পণ্ডিত পক্ষধর মিশ্রেীর নিকট ন্যায়শাসু অধ্যয়নার্থে তথায় গমন করেন। এবং মিথিলা হইতে ন্যায়শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন ও শিক্ষালাভ করিয়া নবদ্বীপের সঙ্গতিসম্পন্ন গোয়ালা হরি ঘোষের গোয়ালে ন্যায়ের টোল সংস্থাপন করেন । এই সময় উড়িষ্যার রাজা প্রতাপরুদ্র বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমকে উৎকলে ন্যায়শাস্ত্ৰ প্ৰচার জন্য নবদ্বীপ হইতে লইয়া গিয়াছিলেন। নবদ্বীপে রঘুনাথ শিরোমণিই বিশেষ প্ৰতিপত্তি লাভ করেন। ইহার একটী চক্ষুর অভাব হওয়ায় জনসমাজে ইনি কাণ শিরোমণি বা কাণভট্ট বলিয়া ও অভিহিত হইতেন । বন্দ্যঘটায় হরিহর তািট্টাচাৰ্য্যের পুত্র রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্যই স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্যরূপে ও বৰ্ত্তমান স্মৃতি গ্রন্থের সংগ্ৰাহক রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য। বলিয়া পরিচিত। বৰ্ত্তমান সময়ে উপনয়ন বিবাহ, () শ্ৰাদ্ধ প্ৰভৃতি কাৰ্য্যাদি এই স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্যের “સ્ત્રો বিংশতি তত্ত্ব” নামক গ্রন্থের মতানুসারে হইয়া থাকে।