পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায় । 8S সমাগমের বিরাম নাই। কাজেই মহাপ্ৰভু কয়েক দিন মাধব দাসের বাড়ী থাকিয়া কুলীন গ্রাম পরিত্যাগ পূর্বক গৌড় নগরের নামান্তর রামকেলী গ্রামে উপস্থিত হইলেন । এই স্থানে বঙ্গ বিহার উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্তা হোসেনী সাহের প্রধান হিন্দু রাজকৰ্ম্মচারী রূপ সনাতনের সহিত মহাপ্ৰভুর প্রথম সাক্ষাৎ হয় । ইহারা মহাপ্রভূর সঙ্গে কানাইর নাট্যশালা গ্ৰাম পৰ্য্যন্ত গমন করেন । এদিকে জনস্রোত পিপীলিকা শ্রেণীর ন্যায় গৌরদর্শন অভিলাষা হইয়া তাতার পশ্চাৎ অনুসরণ করিতে লাগিল। ইহাতে সনাতন ঠাকুর এত লোক সহ বৃন্দাবন যাত্ৰা মহাপ্রভুর পক্ষে সুবিধাজনক নহে এইরূপ ভাব প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন । মহাপ্রভুও সনাতন ঠাকুরের কথানুযায়ী সেই সময়ের জন্য বৃন্দাবন যাত্ৰা পরিত্যাগ করিয়া শান্তিপুরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । এই স্থানে সপ্তগ্ৰাম নিবাসী ধনকুবের গোবৰ্দ্ধন দাসের পুত্র রঘুনাথ দাস মহাপ্রভুর দর্শন ও অদ্বৈতাচাৰ্য্যের অনুগ্ৰহে তাহার প্রসাদ লাভ করেন । মহাপ্রভুর প্ৰসাদে রঘুনাথ সংসারে অনাসক্ত হইয়া মহাপ্রভুর সঙ্গে পুৱীধামে থাকিতে চাহেন । মহাপ্ৰভু তঁহাকে বলিলেন, “আমি শ্ৰীবৃন্দাবন হইতে ফিরিয়া আসিলে তুমি সেই সময় নীলাচলে যাইবে।” এই বলিয়া বিদায় গ্ৰহণ করিলেন । কুমারহট্ট গ্রাম দিয়া পাণিহাটিতে উপস্থিত হইয়া রাঘব পণ্ডিতের সহিত দেখা করিলেন । “নিত্যানন্দ ও আমাতে প্ৰভেদ জ্ঞান না করিয়া। অভেদ জ্ঞান করিও” এই কথা রাঘবকে বলিয়া বরাহ নগর দিয়া ক্ৰমে গঙ্গার দুকুলস্থিত গ্ৰাম সমুহ অতিক্ৰম করিয়া পুনরায় নীলাচলে চলিয়া গেলেন । নীলাচলে চারি মাস কাল অবস্থান করিয়া রাজপুত কৃষ্ণদাস ও বলভদ্র নামক ব্ৰাহ্মণ কুমারকে সঙ্গে লইয়া বৰ্ত্তমান ছোটনাগপুর পথে পুনরায় বৃন্দাবন গমন উপলক্ষে কাশীধামে, উপস্থিত হইলেন । কাশীধাম হইতে ক্রুমে প্ৰয়াগে উপস্থিত হইয়া এ দিন সেস্থানে অবস্থিতি করিলেন । ‘প্ৰয়াগ হইতে ক্ৰমে নানা বম উপবন অতিক্ৰম করিয়া