পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( S. শ্ৰীশ্ৰী বৈষ্ণব-ইতিহাস । নিরবিধি সবে জপ করে কৃষ্ণনাম । প্রভুর চরণ কায় মনে করি ধ্যান। সন্ধ্যা হইলে আপনার দ্বারে সবে মেলি। কীৰ্ত্তন করেন সবে দিয়া করতালি । এই মতে নগরে নগরে সংকীৰ্ত্তন । করাইতে লাগিলেন শচীর নন্দন ।” চৈতন্যভাগবত মধ্য খণ্ড ২৩ অধ্যায় । চৈতন্যচরিতামৃতে মধ্যলীলার ১৯ পরিচ্ছেদে লিখিত আছে যে - “সাধন ভক্তি হইতে হয় রতির উদয় । রচিত গাঢ় হৈলে তার প্ৰেম নাম হয় ৷” “আত্মেন্দ্ৰিয় প্ৰীতি ইচ্ছা তাকে বলি কাম । কৃষ্ণেন্দ্ৰিয় প্ৰীতি ইচ্ছা ধরে প্ৰেম নাম ॥ কামের তাৎপৰ্য্য নিজ সম্ভোগ কেবল । কৃষ্ণসুখ তাৎপৰ্য্য প্ৰেম মহাবল ॥” কবিরাজ গোস্বামী এইরূপে কাম ও প্রেমের পার্থক্য বর্ণনা করিয়াছেন । ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের সৎ, চিৎ, আনন্দ এই তিনটী স্বরূপ। এবং হলাদিনী, সন্ধিনী এবং সংবিৎ এই তিনটী তঁহার শক্তি । ভগবানের এই হলদিনী শক্তি দ্বারাই প্ৰেম উৎপন্ন হয় । প্রেমের পরাকাষ্ঠাই “ভাব” । ভাবের চরম দশাই ‘মহাভাব” । এই মহাভাবই শ্ৰীব্রাধিকার স্বরূপ । অন্তরঙ্গ ভক্তগণ শান্ত, দাস্ত, সখ্য ও বাৎসল্য ভােব ক্ৰমে উত্তীর্ণ হইয়া মধুর বা মুহাভাবে বিভোর হইয়া যান। এই ভাবে <নিজকে রাধিকার স্বরূপ জ্ঞান করতঃ শ্ৰীকৃষ্ণকে স্বামী ভাবে তন্ময়