পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১১১

১ ও ৬ : • স1স্বৎসরিক উপহার । কার সাধন করিয়া গিয়ছেন, র্য হার উপকার জামরা আদ্য পি ভোগ করিতেছি এবং চিরকালই আমাদিগের এদেশীয় লোকে ভোগ করিতে থাকিবে, অনেকে তাহীর দুরবগtহ্য মহান ভাব ধারণ করিতে তাক্ষম হইয়া ত{হার প্রতি নানাবিধ অলীক কথার আরোপ করিয়া আপনার কর্তব্য সাধনের ক্রট করিতেছেন। তাহার যে প্রকার তেজস্বিনী বুদ্ধি ছিল এবং তঁ৷ হার ধৰ্ম্ম যাদৃশ পরিস্কৃত ও নিৰ্ম্মল ছিল, ভাহা তাহার রাশি রাশি কার্য দ্বারা প্রকাশিত রহিয়াছে, এবং আমরাও তাহ পুনঃ পুনঃ সকলকে জ্ঞাত করিয়াছি, কিন্তু তথাপি অনেকে তা হার ভাব বুঝিতে নী পারিয়া অদ্যপি অনেক প্রকার অলীক অপবাদ রটন করেন । যে রামমোহন রায় এই তমসাচ্ছন্ন.ভ রতবর্ষের মধ্যে স্বীয় জ্ঞান বলে ব্রাহ্ম-ধর্মের জ্যোতি প্রকাশ করিলেন, যিনি স্বীয় শক্তি ক্রমে হিন্দুদিগের তীক্ষু কণ্টকাৰ্বত শাস্ত্রের নিবিড় বন ভেদ করিয়া যথার্থ, ধৰ্ম্মের প্রশস্ত প্রান্তরে উপনীত হইলেন, এবং যাহার তর্করূপ আসি দ্বারা সমস্ত শাস্ত্রীয় ভ্রম গ্রন্থি সকল ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল, তাহাকে কেহ কেহ মভবিশেষণস্থবৰ্ত্তী খ্ৰীষ্টান বোধ করিয়া থাকেন । কেহ কেহ কহেন, যে তিনি একেশ্বর বাদী গ্রীষ্টান ছিলেন অর্থাৎ তিনি কুইষ্টকে এক মাত্র পরিত্রাণ কৰ্ত্ত মনে করিতেন এবং তাহকে অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন * অদ্ভত জীব বলিয়া প্রত্যয় কারভেন ও বাইবেল শাস্ত্রকে এক মাত্র ধৰ্ম্ম শাস্ত্র বিবেচনা করিতেন । রামমোহন রায়ের নিষ্কলঙ্ক নামে একলঙ্ক আমাদিগের কোন রূপেই সহ্য হয় না। “, তিনি ষে এক মাত্র জগদীশ্বর ভিন্ন অর কাহাকেও পরিণ ত্ৰাণ কৰ্ত্ত মুক্তি দাতা মনে করিতেন না এবং কোন মস্থষ্যকেই ঈশ্বরের নিয়ম বর্জিত অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন অস্তুত জীব বলিয়া বিশ্বাস করিতেন না এবং এই বিশ্বরূপ বিশাল গ্রন্থ ভিন্ন মহুষ্য কল্পিত অন্য কোন গ্রন্থকে এক মাত্র ধৰ্ম্ম শাস্ত্র বলিয়া বিশ্বাস করিতেন না, তাহ পদে পদেই প্রতিপন্ন করা যাইতে পারে, তাহ পশ্চাৎ উক্ত এই কএকটি বাকু্যের প্রতি মনোয়োগ করিলেই সকলে অনায়াসে জ্ঞাত হইভে পরিবেন।