পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়েfদশ সাম্বৎসরিক ১৭৬৫ শঙ্কের প্রথম স্বকৃত t Ö - যথ মদ্যঃসানামানঃ সমুদ্রেইস্তং গচ্ছন্তি নামরূপে বিহায় । তথাবিদ্বায়াম রূপাদ্বিমুক্ত পরাৎপরং পুরুষ মুপৈতি দিবাং ! যেমন নদী সকল সমুদ্রে গমন করিয়া আপনাপন নমরূপের পরিভাগ পূৰ্ব্বক সমুদ্রের সহিত ঐক্য ভাব প্রাপ্ত হয় তাহার দ্য য় জ্ঞানি ব্যক্তি নামরূপ হইতে বিমুক্ত হইয় পরাৎপর প্রকাশ স্বরূপ পরমেশ্বরকে প্রাপ্ত হয়েম |* সত্য স্বরূপ পরমেশ্বরের উপাসনা হইতে বহির্মুখ হইয়া অনর্থ মুলক কাল্পনিক উপাসনাতে রত থাকিলে এসংসার যে প্রকার দুঃখে পরিপূর্ণ হয় তাহ এক্ষণে এই বঙ্গদেশ নিরীক্ষণ করিলে বিলক্ষণ বিদিত হইবেক । এই কাল্পনিক উপাসনা হইতে এই দেশকে মুক্ত করিবার নিমিত্তে এবং সৰ্ব্বশ স্ত্রে ৎকৃষ্ট বেদান্ত প্রতিপাদ্য সত্য ধর্মের প্রচার করিতে প্রায় ত্রিশ বৎসর গত হইল মহাত্ম| শ্ৰীযুক্ত রামমোহন রায় অগ্রসর হইয়াছিলেন ; ইহাতে তিনি কি কি ক্লেশ সহ্য না করিয়াছিলেন । চতুর্দিকে বিপক্ষ দ্বার বেষ্টিত ই ইয়াও নদীর প্রতিস্রোতে গমনের ন্যায় ঐ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মহাত্ম। কতিপয় বন্ধুর সাহায্য দ্বারা ১৭৫১ শকের ১১ মাঘ দিবসে এই স্থানে এই ব্রাহ্ম সমাজ স্থাপিত করেন । তদবধি" এপর্যন্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানের আলোচনা দ্বারা ক্রমে উন্নতি জন্য অদ্য যে এই ব্রহ্মসমাজের শোভ হইয়াছে ইহ। যদি ঐ মহাত্ম। এপর্যন্ত জীবিত থাকিয়া সন্দর্শন করিতেন তবে পুৰ্ব্বের সমুহ ক্লেশ বিস্মৃত হইয়। তিনি আনন্দ নীরে মগ্ন হইতেন এবং আমারদিগকে উৎসাহ প্রদান করিতেন । যদি এসময়ে তিনি অবর্তমান জন্য আমারদিগের ক্ষোভ জন্মিতেছে তথাপি তাহার প্রধান সহযোগী পুজ্যপাদ শ্ৰীমদ্রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ যিনি আমার সম্মুখে আচর্যfসনে উপবিষ্ট আছেন তিনি’ এপর্যন্ত " অদম রদিগকে উপদেশ প্রদান করিতে সমর্থ থাকতে পরমেশ্বরকে শত শত ধন্যবাদ করিতেছি। হে আচাৰ্য্য পুজ্যপদ

  • ইহা বৈদন্তিক মত, ইহা ব্রাহ্ম ধর্মের সম্মত নহে ।
  • প্রধান আচার্য ।