পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> め সাস্ব হসরিক উপহার } নিৰ্ব্বিকার পরিশুদ্ধ পরাং পর । তিনি সকল মঙ্গলের নিদানভুত, সমস্ত গুণের আধার, সকল সৌভাগ্যের মূল, এবং সমস্ত জীবের প্রভু। পরমাত্মন! তোমার স্বরূপ মানব বুদ্ধির অতীত, এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান চরাচর সমস্ত বিশ্ব তোমার মহিমার কণামাত্র, এই অনন্ত আকাশস্থিত অসংখ্য, অসংখ্য লোক মণ্ডল সকলই তোমার মহিম । অন্ধকারময় গতীর গৰ্ত্তে প্রবেশ করিলে যেমন এক একবার সৌদামিনী সনদর্শনে মন পুলকিত হয়, তদ্রুপ এই মোত বৃত সংসারে প্রবেশ করিয়া তোমার বিশ্ব কার্যের পর্যালোচন দ্বারা তোমার প্রভাবের অtভ মাত্র পাইয়া দেহে জীব সঞ্চার করে । জগদীশ ! তোমার বিশ্বের প্রত্যেক কাৰ্য্য হইতে তোমার উদার মঞ্জল ভাব এত অধিক উত্থিত হইতেছে যে তাহা আমরা মনেতে ধারণ করিতে না পারিয়া সমুদায় বিশ্ব মঙ্গলময় করিয়া দেখিতেছি । হে মানব ! তোমরা যে স্থানে অবস্থিতি কর সর্বত্র হইতে র্তাহীর মহিমা কীৰ্ত্তন কর । তিনি সুর্য চন্দ্রে প্রকাশ পাইতেছেন, তাহার স্থান সকল সাগর, সকল ভূমণ্ডল, সমস্ত নক্ষত্র, সৰ্ব্বত্রই তিনি বিরাজমান আছেন। সভ্য "স্বরূপ ঈশ্বর র্যগহকে জ্ঞান লোক প্রদান করেন, তিনি স্বভাবের কার্য্য এই রূপে পাঠ করেন যে হে ঈশ্বর ! তোমার জ্ঞান যtহার দৃষ্টি গোচর হয়, তিনি কদাচ বিপথে গমন করেন না এবং অৰিচিকিৎস হইয়া জ্ঞানের পথে ধাবমান হন। হে বিশ্বেশ্বর ! তুমি বিশ্বকে এ রূপে রচনা করিয়াছ যে তাহাতে তোমার জ্ঞান, শক্তি ও মঙ্গল ভাব স্পষ্ট রূপে প্রকাশ পাইতেছে, সকল মনের পুজনীয় তুমি ঈশ্বর, তোমাকে কেহ অতিক্রম করিতে পারে না । উপরিস্থিত জ্যোতিৰ্ম্মণ্ডলেরা আপনাদিগের স্রষ্টার মহিমা বর্ণনা করিয়া স্বীয় উচ্চ মহিমা বিস্তার করিতেছে । দেশ বিশেষে কাল বিশেষে অবস্থা বিশেষে জল, বায়ু, মৃত্তিক প্রভৃতি পারবৰ্ত্তিত হইয়। অামাদিগের হৃদয় ক্ষেত্রে প্রিয়তম পরব্রহ্মের গুণ সমুহ মুক্তন করিয়া সংস্থিত করিতেছে। বারি ও উত্তাপ প্রভৃতি ভৌতিক পদার্থ সমুহ ফল শস্ত দি উৎপন্ন করিয়া তাহারি করুণ প্রচার করিতেছে । সমীরণ সমুহ তাহার প্রসংশার হিল্লোল