পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাধি২শ সাম্বৎসরিক, ১৭৭৯ শকের তৃতীয় ৰক্ততা । >\ご意 আত্ম একেবারে ধূলিসাৎ হইল, এই রূপ তিনি কতই খেদ করিবেন । যিনি ন্যায়রন ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রায়ে বিশ্বাস রাখেন, ভিনি মৃত্যু সময়ে মুতন ভূতন আনন্দ লাভের প্রতfশায় সৰু আনন্দিত হয়েন, কারণ তিনি জানেন পৃথিবীর তাবৎ বস্তুই পরিবর্তনের দুর্জয় নিয়মের অধীন, অতএব তাহার আত্মার পরিবর্তন মাত্র হইল, ইহাতে বিশেষ ক্ষুব্ধ হইবার বিষয় কি ! আর তিনি ইহা ও জ্ঞাত আছেন যে পিপ স{ থাকিলে জল থক{ যেমন সম্ভব, ক্ষুধ থুকিলৈ অন্ন থাকাঁ যেমন সম্ভব, সেইরূপ সমস্ত জীবের উন্নতি হইবার যখন বাসা আছে, আর সে বাসন যখন এখানে পূর্ণ হয় না, তখন তাহার সে বাসন অবশ্যই এককালে পূর্ণ হইবেক । পিতা কি উপযুক্ত পুত্রকে সমস্ত ধনের অধিকারী না করিয়া তৃপ্ত হইতে পারেন ? অামাদিগের পরম পিত সৰ্ব্বদাই অামাদিগকে করুণ বিতরণ করিতেছেন, তাঙ্গীলা না করিলেই আমরা উহ। লাভ করিতে সমর্থ হই । সেই পপীবিদ্ধ জগদ্বিধাত অামীদিগের এমত এক সময় উপস্থিত করবেন, যে সময় আমাদিগের জ্ঞান তৃষ্ণ শান্তি পাইবেক, ধৰ্ম্ম তৃষ্ণ পরিতৃপ্ত হইবেক, যে সময় আমাদিগের রোগ শোক হুঃখ তাপ পলায়িত হইবেক, যে সময়ে অখণ্ড শাশ্বত পুর্ণ সুখ, যে সময়ে যোগানন্দের উৎস-প্রেমানন্দের উৎস ক্রমাগত উৎসারিত হইতে থাকিবে । হে জগৎ বিধাতঃ ! আমি তোমার এক নিমিষের করুণ কি বর্ণন করিয়া শেষ করিতে পারি ? তুমি আপাততঃ দুঃখ রাশি হইতে যে কত মঙ্গল বিধান করিতেছ, তাহই বা কে বলিতে পারে। বিজ্ঞানই ভtহার যৎকিঞ্চিৎ প্রকাশ করিতে পারে। যে খানে অজ্ঞানান্ধ ব্যক্তি সমস্ত ব্যাপারকে অমঙ্গল পরিপূর্ণ বোধ করেন, সে খানে জ্ঞান চক্ষুঃ অমৃতময় মঙ্গলময় ফল প্রত্যক্ষ করিতে থাকেন। মহানিষ্টকর ভীষণ ভূমিকম্প, মহানর্থকর শস্যহর জল প্লাবন, মহা প্রলয়কারী প্রবল ঝএক বাত, আগ্নেয় গিরির মহানিষ্ট সাধক দ্রবীভূত ধাতু প্রবাহ, প্রচণ্ড দাবানল, পৰ্ব্বতোপরি অসঙ্গত শীতল তুষার বৃষ্টি ও অসহ্য প্রচণ্ড স্থৰ্যা