পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১৪৪

উনত্রিংশ সাম্ব ৫,সরিক, ১৭৮০ শকেৰু প্রথম বক্তৃত । > \లిసి মধ্যে পরস্পর ষণহাতে ঐক্য নিবন্ধ হয়, তাহার 'বিধান কর, সকলের মনে ব্রাহ্ম-সমাজের উন্নতি চেষ্টা উদ্দীপন কর এবং সকলের মনে মহাত্মা স্ত্রীযুক্ত রাজা রামমোহন রায়ের দৃষ্টাস্তের অনুগামী হইবার প্রবৃত্তি উত্তেজিত কর। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ! ১৭৮০ শক । সমুম্বংসরিক ব্রাহ্ম-সম{জ । প্রথম বক্তৃতা । যে সমস্ত সৎকার্য সংসাধন দ্বারা মহুষ্য জাতি মহত্ত্বের অসম্পদে উপনীত হইতে পারে, স্বদেশের উপকার সাধন করা" তন্মধ্যে প্রধান কার্য । যে ব্যক্তি স্বীয় শক্তি অনুসারে আপনার জন্ম ভূমির হিত সাধনে তৎপর না হয়, সে কোন প্রক রেই সম্পূর্ণ রূপে মস্থষ্য নামের উপযুক্ত হইতে পারে না । যাহার সঙ্কীর্ণ মন স্বাৰ্থপরতার বশীভুত হইয়। কেবল স্বীয় কৰ্ম্ম সাধনেই আবদ্ধ থাকে, সে কখনই উপযুক্ত রূপে গৌরবান্বিত হইতে ' সমর্থ হয় না এবং সে কোন কালে আপনার যথাসম্ভব কল্যাণ লাভ করিতেও পারে না । মহুষ্য যেমন বহু জন একত্রিত হইয়। সমাজ-বন্ধ ব্যতিরেকে কোন রূপে একাকী বাস করিতে সক্ষম হয় না, সেই রূপ স্বদেশস্থ সহবাসী লোকের উন্নতি সাধন ব্যতিরেকেও আপনি উন্নত হইতে পারে না । যেমন শরীরের মধ্যে কোন এক অঙ্গে পীড়া উৎপন্ন হইলে অভ্যন্ত অঙ্গে যন্ত্রণ উপস্থিত হয়, সেই রূপ সমাজের মধ্যে কোন এক ব্যক্তি মন্দ হইলে ও অপরকে তাহার ফল ভোগ করিতে হয় ! স্বদেশ স্থ সহবাসী লোকের হিত সাধন করা অামীদিগের নিতান্ত অণবশ্যক বলিয়া পরম করুণবান পরমেশ্বর অমাদিগকে তদুপযোগিনী কল্যাণ করা প্রবৃত্তি প্রদান করিয়াছেন। তিনি স্বদেশের উপকণর সাধনের সহিত এমনি অশ্চির্য সুখ সংযোগ করিয়া রাখিয়াছেন, যে মনুষ্য আপন হইতেই তাহ সাধন করিতে