পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনত্রিংশ সাস্বৎসরিক, ১৭৮০ শকের তৃতীয় বক্তৃত । { { & হইয়া ভঁহারই কার্য মাধন করিতেছে । তঁtহারই শাসনে মধ্যে • মধ্যে ধমকেতু উদিত হইয়া আমারদিগকে চমৎকৃত করিতেছে। তাহারই আদেশ ক্রমে বৃক্ষ সকল ਝੁਕਿ হইতে রস আকর্ষণ করিয়৷ শাখা পল্লবে পল্লবিত হইতেছে, সেই সকল বৃক্ষ হইতে সুগন্ধ পুষ্প ও সুস্বাদু ফলের উৎপত্তি হইতেছে এবং যখন পশুর সেই ফল ভক্ষণ করে, তখন তাহই রক্ত মাংসে পরিণত হইয় তাহদের জীবন ধরণের উপায় হইতেছে । তাহারই নিয়মে মনুষ্য জন্ম গ্রহণ করিয়া অতি দুরূহ বিষয়ে বুদ্ধি পরিচালনা করিতেছেন, এবং ধৰ্ম্ম পথে থাকিয় বিমলানন্দ অনুভব করিতেছেন । তিনিই স্থির, আর সমুদয় বস্তুই ভ্ৰাম্যমাণ হইতেছে, “ দেবস্যৈষমহিমা তু লোকে যেনেদং ভ্রমতে ব্ৰহ্ম-চক্ৰং " তিনিই ধব, সত্য, নিশ্চল, আর সমুদয় পদার্থই উহার কার্যে তৎপর রহিয়াছে ; তিনিই রাজা আর সকলই ঠাহীর অখণ্ডনীয় শাসনের অধীন । তিনিই “মহদ্ভয়ং বজুমুদতং” তিনি ধর্মের আবহ, পাপের শাস্ত । সকল ঘটনাই তাহীর মঙ্গল অভিপ্রায় সাধন করিবার জাত উন্মুখ রহিয়াছে ; কাহার সাধ্য যে র্তাহীর অভিপ্রায়, খণ্ডন করে । - যিনি ফলফুলে নানা শক্তি দিয়াছেন, যাহার নিয়মে এই সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের একটি পৃথিবীরও বিশৃঙ্খল হইবার কোন কালে । সম্ভাবনা নাই, তিনি যে মন্থয্যের মনে এপ্রকার শক্তি দিয়ছেন যে তাহ (র দ্বারা তিনি নায় অন্তfiয়, পাপ পূণ্য কৰ্ত্তবাণকৰ্ত্তব্য বিবেচনা করিয়া কাৰ্য্য করিতে পারেন, এই পরম! শ্চর্য শক্তির সহিত অন্য কোন শক্তির তুলনা হয় না । যখন নদীতে প্রবল তরঙ্গ হয়, তখন যে বলবান ব্যক্তি তাহার প্রতিস্রোতে গমন করিতে পারে, তাহার বলের আমরা কতই প্রশংসা করিতে থাকি, তবে যখন সংসার তরঙ্গের মোহ কোলাহলে কর্ণ বধির হইয়া যায়, তখন ষে ব্যক্তি সেই তরঙ্গের প্রতিকুলে গমন করিতে পারে, তাহার শক্তি কেমন আশ্চর্যা ! কিন্তু আবার যখন বিবেচনা করা যায়, যে ধৰ্ম্ম হইতে পৃথিবীতে সামারদের শ্রেষ্ঠতর বস্তু আর কি মাছে, তখন দেখা যায়