পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১৯

38 সন্ধিৎসরিক উপহfয় । প্রত্যেক্ষ পল্লীতে এবং নগরস্থ প্রভোক পথে দলবদ্ধ হওত তত্তৎ ধৰ্ম্ম পুস্তকান্তর্গত গ্রন্থ সকল বিতরণ এবং পাঠশালা সংস্থাপনাদি বিবিধ উপায়ের দ্বারা খ্ৰীষ্ট ধৰ্ম্মের জাল বিস্তীর্ণ করিতেছিল, অন্ত দিগে এই দেশস্থ ধৰ্ম্মে পদেশকের পুরােণ তন্ত্র হ্যায়ি কাল্পনিক পৌত্তলিক ধৰ্ম্মে মত্ত থাকিয়া সংস্কারবলে বহু কালের পুরাতন শাস্ত্রীর্থের বিভাব করত দেশস্থ লোকের মন তমোবৃত করিতেfছলেন ; কিন্তু সেই মহাত্মা বেদন্তিপ্রতিপাদ্য সত্য ধৰ্ম্ম প্রচ1রের দ্বারা এই খ্ৰীষ্ট-ধৰ্ম্ম-জালচ্ছেদন করিতে এবং লোকের মনকে অন্ধকার হইতে মুক্ত করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । অতএব তঁtহণকে ধন্যবাদ অর্পণ করিতেছি যে উtহার উৎসাহে আনন্দস্বরূপ অদ্বিতীয় ঈশ্বরের উপাসনার পথ মুক্ত হইয়াছে এবং উহার সহযোগি পূজ্যপাদ খ্ৰীযুক্ত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশকেও ধন্যবাদ করি যে তিনি বেদান্ত শাস্ত্রের সারার্থী মুসারে বিধি পূর্বক ব্রহ্মবিদ্যা উপদেশ করত আমারদিগকে কৃতার্থ করিতেছেন। এই ক্ষণে পরমেশ্বরের নিকটে এই প্রার্থন যে এই পুণ্য ভারত ভূমি পুণ্যবান ব্রাহ্ম দ্বার আশু পরিপূর্ণ হয়। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ১৭ ৬৬ শক । সাম্বৎসরিক ব্রাহ্ম-সমাজ । দ্বিতীয় বক্তৃতা । কোন ধৰ্ম্ম বিধি পুৰ্ব্বক গৃহীত ন হইলে তাহা চিরস্থায়ী হয় না, এবং সাধকের মনে দৃঢ়তা থাকে না ; এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কোন বিধি ও নিয়ম পুৰ্ব্বক গৃহীত না হওয়াতেই লুপ্ত প্রণয় হইতেছিল । মহাত্ম রাজা রামমোহন রায় মহাশয় যে বিধি পুৰ্ব্বক ব্রহ্মোপাসনা গ্রহণ করাইতে পারেন নাই ইহাতে উপহার এ বিষয়ে ক্রটি বলা যায় না ; কারণ যে রূপ কোন