পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/২০৩

సtr স1স্ব ৎসরিক উপহার । বৃহদােয়তন পাপ-রাশি চুর্ণ হইয়া যায় ; নিরাশ মুম্ষু ব্যক্তি নব জীবন ও নব উদ্যম প্রাপ্ত হয় ; অতি দুৰ্ব্বল ভীরু ব্যক্তি মহা বীরের দ্য য় বীর্যব ন হয় ; এবং অতি সামান্ত ক্ষুদ্র ব্যক্তিও সম্রাট-পরাজিত প্রতাপে সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের মনকে বশীভূত করিয়া তাহারদের দ্বার স্বীয় মহান লক্ষ্য সংসাধন করিয়া লন । সত্যের বলের নিকটে জ্ঞান-বল ধন-বল দেহ-বল সকলই পরাভূত হয়--কেবল পরাভূত হয় এমত নহে, কিন্তু আবার অতুগত দাসের দ্য য় ইহর পরিচর্ষ্য করে। বহু প্রমাণ দ্বারা ইহা সিদ্ধান্ত করা যাইতে পারে যে যাহার। ভয়ঙ্কর বিকট মুৰ্ত্তি ধারণ পূৰ্ব্বক বদ্ধ-পরিকর ও খড়্গ-হস্ত হইয় সত্য-পরণয়ণ ব্যক্তির অনিষ্ট সাধনে প্রবৃত্ত হয়, তাহারাষ্ট আবার অনতিবিলম্বে সেই ব্যক্তির সেবা করে এবং অম্লযাত্রী হইয় তাহীর আদেশানুসারে সত্যের মহিমা কীৰ্ত্তন করিতে থাকে । কি আশ্চর্য সত্যের মহিমা ! এই উদার ও জীবন্ত সত্যের উপরে আমাদের পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সংস্থাপিত ; ফলতঃ সত্যই ব্রহ্ম-ধৰ্ম্ম । এই জন্তই ব্রাহ্মধৰ্ম্মে সকল মহুষেTর অধিকার । ইহা যেমন ভারতবর্ষের, তেমনি ইংলণ্ডেরও ধৰ্ম্ম, ইহা যেমন পূৰ্ব্বকালের, তেমনি বর্তমান সময়েরও ধৰ্ম্ম । ইহা যেমন ভূক্ষদশী নানবিদ্য:-বিশারদ পণ্ডিতfদগের, তেমনি সরল-চিত্ত কৃষকদিগেরও ধৰ্ম্ম। অর্ন্যান্য ধর্মের ন্যায় ইহা জাতি-বদ্ধ বা সম্প্রদায়-বদ্ধ নহে। ইহাতে জাতির গৌরব নাই, দেশের গৌরব নাই । সকল মহুষ্যই স্বভাবতঃ ব্রাহ্ম । যিনি যে পরিমাণে স্বাভাবিক নিৰ্ম্মল জ্ঞানের অনুসরণ করেন, তিনি সেই পরিমাণে ব্রাহ্ম মনুষ্যত্মিার সহিত ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বব্যাপী ; আত্মার স্বধৰ্ম্মই ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম । দেশ কাল ও অবস্থা নিৰ্ব্বিশেষে সকলেরই ইহাতে অধিকার । জগৎ আমার দের দেবমন্দির, পরমেশ্বর আমাদের উপাস্য দেবতা, স্বাভাবিক জ্ঞান আমাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্র, উপাসনা আমাদের মোক্ষ পথ, আত্মশুদ্ধি আমাদের প্রায়শ্চিত্ত, সাধু ব্যক্তি মাত্রেই আমাদের গুরু ও নেতা। এই উদার ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মে সম্প্রদায়িক লক্ষণ কিছুই নাই ; ইহাতে বিরোধের কারণ নাই । ইহা সাধারণ সম্পত্তি । সুতরাং ব্রাহ্ম