পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

菇 | , সখিৎসরিক উপস্থার । - של ל ন কর, কিন্তু তিনি তোমারদিগের প্রতি যে রূপ করুণ বর্ষণ করিতেছেন তাহা বর্ষণ করিতে ক্ষণন্ত থাকিবেন না । পরমেশ্বরের উপাসনা কেবল কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম নহে ভগহা অত্যন্ত আনন্দ জনক হইয়াছে । জগদীশ্বর যত নিয়ম স্থাপন করিয়াছেন তন্মধ্যে এই এক নিয়ম যে ব্রহ্ম চিন্তাতে অত্যন্ত সুখেণং পত্তি হয় । বেtধlতীত সুকৌশল · সম্পন্ন মহৎ বিশ্ব কাৰ্য্য আলোচনা করিয়া ঈশ্বরের জ্ঞান, শক্তি, করুণা প্রতিপন্ন করা যে কি আনন্দজমক তাহ! বাক্য পথের অতীত। সে সুখ যে ব্যক্তি যথার্থরূপে অণস্বাদন করেন তঁহার নিকট পৃথিবীর বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য ও শোভনতম মুকুট সকল তুচ্ছ বোধ হয় । যখন মন ঈশ্বরের কার্য্য সকল আলোচনা করিয়া তাহীর মহিমা স্বভাবতঃ এইরূপ কীৰ্ত্তন করে যে “ হে পরমাত্মন! তোমার মঙ্গল নন্দোৎপন্ন এই বিচিত্র জগৎ কি আশ্চর্য্য রচন! ! কি নিরুপম কৌশল ! কি অনন্ত ব্যাপার । ভুরি ভুরি গৃঢ় কাৰ্য্য সহিত এই এক ভূলোকই কি প্রকাণ্ড পদার্থ। এই ভূমণ্ডল অপেক্ষা অতুল পরিমাণে বৃহত্তর কত অসঙ্খ্য অসঙ্খ্য লোকমণ্ডল গগণে বিস্তৃত রহিয়াছে ! অন্ধকার রজনীতে ঘন বর্জিত আকাশে অপূৰ্ব্ব জ্যোতিঃ উজ্জ্বল নক্ষত্র গহনা কি অগণ্যরূপে প্রকাশ পায় ! নক্ষত্রের পর নক্ষত্র, সুর্য্যের পর স্থৰ্য্য ! এমত স্থৰ্য্য সকল ও অাছে যাহারদিগের রশ্মি নিঃস্থত হইয় পৃথিবীতে অদ্যপি অসন্ন হইতে পারে নাই ! হে জগদীশ্বর ! তোমার শক্তি বাক্য মনের অগোচর এমত ব্রহ্মাণ্ড তুমি এক কালে স্বজন করিলে,তুমি চিন্তা করিলে আর এ সমস্ত তৎক্ষণাৎ হইল ! তোমার জ্ঞানের কথা কি কহিব ? যখন এক বৃক্ষ পত্রের রচনা আমরা এ ক্ষণ পৰ্য্যন্তও সম্যক-রূপে জ্ঞাত হইতে পারি নাই তখন আমরা তোমার জ্ঞান সমুদ্র সন্তরণ দ্বারা কি প্রকারে পার হইব ? দিবারাত্র ষড়ঋতুর কি সুচারু বিবৰ্ত্তন। পঞ্চ ভূতের পরস্পর সামঞ্জস্য কি চমৎকার নিয়ম । জীবশরীর কি পরিপাটী শিল্পকাৰ্য্য ! মনুষ্যের মন কি নিগুঢ় কৌশল! তুমি স্বাক্টর সময়ে যে সকল নিয়ম স্থাপিত করিয়াছিলে অদ্যপি সেই সকল নিয়ম দ্বার জগতের কার্য