পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ সাম্বৎসরিঞ্চ, ১৯৭২ শঙ্কের প্রথম বক্তৃত । RS প্রবন্স করিয়া যে অপায় উপকার করিয়াছেন-যে মহtধন প্রদান কfরয়া গিয়াছেন, তাহ কি রূপে পরিশোধ করিব ? তিনি অামারদিগকে রজত দেন নাই, স্বর্ণ দেন নাই, এবং হীরক বা মুক্তাকলও প্রধান করেন নাই বটে, কিন্তু তদপেক্ষ সহস্ৰ গুণ —কোটি গুণ-অনন্ত গুণ উৎকৃষ্ট অপুৰ্ব্ব রত্ন প্রদান করিয়া গিয়াছেন। সে রত্বের মুল্য নাই, জগতে তাহার উপমাগু নাই । যিনি আমারদের কল্যাণার্থে চিরজীবন সমর্পণ করিয়াছিলেন, তাহার ঋণ কি রূপে পরিশোধ করিব ? তাহার উদ্দেশ্য কার্য অবলম্বন ও সম্পাদন করা ব্যতিরেকে এ ঋণ পরিশোধের অপর উপায়ান্তর নাই। হে ব্রাহ্মগণ । অার একটি উপায়ও অাছে । তিনি এ প্রকার কহিয়া গিয়াছেন ষে “আমি এই ভরসায় যাবতীয় যন্ত্রণ স্থিরচিত্তে সহ্য করিতে পারি, যে এমন দিন উপস্থিত হইবে যে তখন লোকে আমার সমুদায় চেষ্টার যথার্থ তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করিবেক—বোধ করি তন্নিমিত্ত কৃতজ্ঞতা স্বীকারও করিবেক ।” অণপনার তাহার এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পন্ন করুন । এ দেশস্থ সমস্ত লোকেরই উপহার এই প্রতিজ্ঞাত কর্ষ্যে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত, কিন্তু র্যাহার ব্রাহ্ম-ধৰ্শ্ব অবলম্বন করিয়াছেন, তাহারদিগের এই বৃহম্ভার গ্রহণে প্রতিজ্ঞ করাই হইয়াছে। এ ক্ষণে উtহার প্রত্যেকে এই অতি কৰ্ত্তব্য গুরুতর ব্যাপার সাধনে যথোচিত ৰত্ন করিতেছেন কি না ভাস্থ্য আপনারাই বিবেচনা করুন । ইহা অবশ্য স্বীকার করিস্তে জুইবেক, যে ব্রাহ্মের। এবৎসর ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম গ্রস্থ প্রস্তুত করিয়া এক মহৎ কৰ্শ্ব করিয়াছেন । পরম কারুণিক পরমেশ্বর এই যে অখিল বিশ্ব রূপ সৰ্ব্বোত্তম গ্রন্থ দ্বারা আপনার অনিৰ্ব্বচনীয় স্বরূপ ও অামারদিগের কৰ্ত্তব্যঃকৰ্ত্তব্য নিরূপণ করিয়া দিয়াছেন, তাহাই আমারদিগের ব্রাহ্মধর্মের এক মাত্র মুল । এ পর্যন্ত ব্রাহ্মদিগের কোন সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ ছিল না, তাহারদিগের ধৰ্ম্ম, মত ও অভিপ্রায় নানা গ্রন্থে ইতস্ততঃ নিক্ষিপ্ত ছিল । ব্রাহ্ম-ধৰ্শ প্রকাশ হইয়। এ অভাব দুরীকৃত হইয়াছে। এ ক্ষণে যাহাতে এই গ্রন্থ সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত হয়, তদ্বার ব্রাহ্ম-ধর্শের আলোচনা বৃদ্ধি হয়, এবং এই পরম ধৰ্ম্ম