চতুবিংশ সাম্বৎসরিক্স, ১৭৭৫ শকের প্রথম বক্তৃত। } ** কেও ওঁ হীরদের আর অস্ত কার্য নাই । তম্ভিন্ন অণর সকল ধৰ্ম্মই কাল্পনিক, আর সকল কাৰ্য্যই , অকাৰ্য্য। সৰ্ব্ব-মঙ্গলা কর পরমেশ্বর যে মঙ্গলময় অভিপ্রায়ে অখিল ব্ৰহ্মাণ্ড স্থজন করিয়াছেন, তাঁহাই সাধন কর; ব্রাহ্ম-ধর্মের উদ্দেশ্য। -তিনি আমারদের মনোরূপ রত্ন খণিতে যে সকল জ্ঞান-রত্ন ও সুখ-রত্ব নিহিত রাখিয়াছেন, তাহ খনন করিয়া বহির্গত করা, এবং বিচিত্র বাস্থ্য বস্তুতে যে সকল কল্যাণ-বীজ প্রচ্ছন্ন রাখি য়াছেন, তাহ অহরণ করিয়া অঙ্কুরিত ও বৰ্দ্ধিত করাই ব্রাহ্মধর্মের প্রয়োজন। বিশ্বপতির স্বপ্রতিষ্ঠিত শারীরিক, মানসিক, ভৌতিক সৰ্ব্বপ্রকার নিয়ম পরিপালিত হইয় জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, স্বাস্থ্য, সৌভাগ্য এবং ঐহিক ও পরিত্রিক আনন্দ সম্পাদন করে, ইহাই এই পরম ধৰ্ম্ম প্রচারের অভিপ্রেত। অামারদের এই রমণীয় অণশ দীর্ঘ অাশা বটে, কিন্তু আমারদের আশা-বৃক্ষ অশা-প্রদাতা সৰ্ব্ব সুখ-দাভা পরমেশ্বরের কারুণ্য রূপ পবিত্র ক্ষেত্রে রোপিত রহি য়াছে। অতএব, তাহা এক কালে অবশ্যই ফলবান হইবে, এবং ফলবান হইয় অত্যাশ্চর্য রমণীয় শোভা প্রকাশ কfরবে। তখন আমারদের ভারত-ভুমি ব্রাহ্ম-ধর্শের মনোহর জ্যোভিতে দীপ্তি - পাইয়া সৰ্ব্বত্র সুরম্য সুখ-ব্যাপার প্রদর্শন করিবে । তখন গ্রামে গ্রামে ও নগরে নগরে পরম পবিত্র ব্রাহ্ম-সমাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়া, ও পরম মঙ্গলালয়ের গুণকীৰ্ত্তন রূপ মঙ্গল-ধনিতে ধনিত হইয় মানবগণের ঐহিক পরিত্রিক উভয়বিধ মঙ্গল-প্রবাহ একত্র মিলিত করিবে -তাহার সঙ্গে সঙ্গে উৎকৃষ্ট প্রণালীক্রমে বিদ্যালয় সকল সংস্থাপিত হইয়া বিশ্বাধিপের বিশ্ন-রাজ্যের মঙ্গলময় নিয়ম-প্রণালী প্রচার পুৰ্ব্বক অন্তঃপুর পর্মান্ত স্থনিৰ্ম্মল জ্ঞানজ্যোতি বিকীর্ণ করিতে থাকিবে –স্বদেশের গ্রাম ও নগর সমু দায় পরিষ্কৃত পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যান্থকুল হইয় প্রতি গৃহে সুস্থতাসুখ সঞ্চারণ করিবে ;–স্বদেশীয় লোক বল বীর্য, বিদ্য! ধৰ্ম্ম, ও সুখ লোভাগ্যে পরিপুর্ণ হুইয়া মস্থষ্য-সমাজে গণ্য ও মান্ত হইবে, সৰ্ব্বপ্রকার কুসংস্কার ও কাল্পনিক ব্যবহার পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক্ষ ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে পরমেশ্বর-প্রদর্শিত পবিত্র পথে సి +.
পাতা:ষট্ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
