* 4 മ সন্ধিৎসরিক উপহfর । তাহার গুণ-বর্ণন ও কীৰ্ত্তন-ঘোষণা করিয়া স্বকীয় লেখনী ও ভারতী সার্থক করিতেছেন। উiহার সময়ের যে ধৰ্ম্ম-বিষয়িণী অথচ ধৰ্ম্ম-বিদ্বেষিণী সভা উহার উপর, ও উtহার প্রতিষ্ঠিত পবিত্র ব্রাহ্ম-সমাজের উপর, বিদ্বেষালন ও দুৰ্ব্বচন-বিষ অবিশ্রান্ত বর্ষণ করিত, অধুনা নিৰ্ব্বাণ-গত আগ্নেয় গিরি অথবা গরল-শূন্য বিষ-ধর তুল্য নিতান্ত নিস্তেজ ও একান্ত অকিঞ্চিৎ কর হইয়াছে ; —কেবল নাম মাত্র অাছে । তাহর সময়ে তিনি প্রাণপণে যত্ন করিয়াও ছুই এক ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কাহাকেও স্বীয় মতে সম্পূর্ণ রূপ মতস্থ করিতে সমর্থ হন নাই, অধুনf অনেক ব্যক্তি অন্যদীয় উপদেশ-নিরপেক্ষ হইয়া আপনাদের মার্জিত বুদ্ধি প্রভাবে র্তাহীর মত উদ্ধার করিয়া লইতেছেন । ষে সকল ব্যক্তি সে সময়ে তাহণর মতের অস্থবৰ্ত্তী বলিয়। বিখ্যাত ছিলেন, সকলেই প্রায় বেদান্তীমুগত ব্রহ্মজ্ঞানী ছিলেন, রামমোহন রণয়ের ন্যায় শাস্ত্র-নিরপেক্ষ যুক্তি-পথাবলম্বী ব্রাহ্ম ছিলেন না । তিনি কোন শাস্ত্রকে পরমেশ্বর প্রণীত অভ্রান্ত বুলিয়া অঙ্গীকার করিতেন না ; সৰ্ব্ব শাস্ত্রের অনুশীলন করিয়া, যুক্তি বিরুদ্ধ যাবতীয় বিষয় পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক, যুক্তি-মুলক যথার্থ পরমার্থ-তত্ত্ব.সমুদয়ুই গ্রহণ করিতেন । যদিও তিনি এতদ্দেশে স্বীয় মত সংস্থাপপনার্থ সমগ্র শাস্ত্র হইতে, এবং বিশেষতঃ বেদ স্ত শস্ত্র হইতে, প্রমাণ পুঞ্জ সঙ্কলন করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি যে বাস্তবিক বৈদান্তিক ছিলেন না, ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন, ইহাতে সংশয় হইবার বিষয় নাই । রামমোহন রায়ই ব্রাহ্ম-সমাজ সংস্থাপক, রামমোহন রায়ই ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক, রামমোহন রায়ই ভারতবর্ষীয়দিগের ভ্রান্তি নিবায়ণের মূল স্থত্র সঞ্চারক । আমরা উtহারই প্রদর্শিত পথে বিচরণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি । এই নিমিত্ত, প্রতিবৎসর উহাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ রূপ কর প্রদান করিয়া অন্তঃকরণের অণক্ষেপ নিবারণ করি । রামমোহন রায় এতাদৃশ অসামান্ত স্বভাব মহীযান মহষা ছিলেন, যে অমর উtহার অস্থগত বলিয়া পরিচয় দিতে পরিলে, আপনাদিগকে চরিতার্থ বোধ করি । কিন্তু ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম 始
পাতা:ষট্ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
