পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ সাস্বাৎসরিক, ১৭৭৬ শকেয় দ্বিতীয় বস্তৃতা । دنیا উপহার অসামান্ত কারুণ্য পক্ষে নিরস্তুর সাক্ষ্য দান করে । সমগ্র ভূমণ্ডল উপহার কল্যাণকর কৌশল প্রকাশ করিতেছে, এবং সমুদয় নভোমণ্ডল তাহার অপরিসীম মহিমা প্রচার করিতেছে। যে স্থানে উপহার মহিমা প্রকাশিত নাই, এমন স্থানই অপ্রসিদ্ধ । যে সময় উহার কারুণ্য-গুণের নিদর্শন নেত্রস্থ না হয়, এমন সময়ই অপ্রসিদ্ধ। অতএব, শ্রদ্ধাবান সাধকের হৃদয়-ভূমি সকল স্থানে ও সকল সময়ে স্বভাবতই তাহার প্রীতি-রসে অস্ত্র হইতে পারে। বাস্তবিক, পরমেশ্বরের উপাসনায় আমাদিগের স্বভাব-সিদ্ধ প্রবৃত্তি আছে বলিয়াই, সৰ্ব্ব-দেশীয় সৰ্ব্ব-জাতীয় লোকে কৃত্রিম বা অকৃত্রিম কোন না কোন প্রকার পদ্ধতি অবলম্বন করিয় ভঁশহর উপাসনায় অস্থরক্ত রহিয়াছে জগদ্বন্ধুর গুণ-সিন্ধু স্মরণ হইলেই, শ্রদ্ধাবান সাধকের প্রেম-সিন্ধু উচ্ছ

  • ীত হইয়া উটু কোন ফল-প্রাপ্তির প্রত্যাশায় তাহার

উপাসনায় প্রক্ট হইতে হয় না। নিষ্কাম উপাসনাই প্রকৃত উৰ্দ্দসিন গ্রীম উপাসনা উপাসনাই নহে। । কিন্তু যখন অন্যান্য সামান্য সংক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিলে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে পুরস্কার পাওয়া ষায়; তখন পরমেশ্বরের উপাসনা রূপ অতিপ্রধান পুণ্য-ক্রিয় যে নিতান্ত নিষ্ফল হইবে ইহা কোন মতেই সম্ভাবিত নহে। প্রত্যুত, তাহাকে উপাসন। করিবার সময়ে যে অত্যন্ত্ৰত অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ রসের সঞ্চার হয়, তাহ আর কিছুতেই পাওয়া যায় না। ৰিশ্বপতির বিশ্ব-কাৰ্য্য -পৰ্য্যালোচনার সময়ে কোন অতি মনোহর অস্তুত কৌশল প্রতীতি করিলে, উহার প্রতি অকপট প্রীতি উপস্থিত হইয়া অন্তঃকরণ ষেরূপ প্রফুল্ল হইয়া উঠে, সে রূপ আর কিছুতেই হয় না। পরম মঙ্গলাক্ষর পরমেশ্বর বিশ্ব-সংসার .যে প্রকার পরমাশ্চর্য সৌন্দৰ্য্য-সুধায় আদ্র করিয়ারাখিয়াছেন, শিশির-সিক্ত দুৰ্ব্বাদলে, সরোবরন্থ অৰুত্ৰগণে, পৌমিসি পূর্ণ চন্দ্রে, বা ফপৰীন বৃক্ষের দোছুল্যমান ফলপুঞ্জে, তাই মাত্র । অবলোকন করিলে, শোভার অাকর, গুণের সাগর, পরম বন্ধুর । গুণ স্মরণ হইয়া, হৃদয়-পক্ষ ষে রূপ বিকশিত হইয় উঠে, সে