পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪থ সcবাদ । እ 8 ¢ স্বীকার করিতে পারেন । নিরীশ্বর মীমাৎসকেরা ধৰ্ম্মবচন বলিয়াই বেদ প্রামাণ্য করেন। সুতরা উক্ত সূত্রে কণাদের সেশ্বরবাদ অসংশয় হয় না আর সেশ্বরবাদ যদি স০শয়াপন্ন রহিল তবে তদুক্ত পরমাণুর স্বনিঃ অদৃষ্টবল ঈশ্বরের যন্ত্র কহা সাহস মাত্র” । ন্যায়রত্ন । “সত্যকাম তুমি কি জান না যে গৌতম সূত্র যেমন আদ্য ন্যায়শাস্ত্র তজপ কণাদ সূত্র উত্তর ন্যায় । অাদ্য খণ্ডে সেশ্বরবাদ প্রতিপন্ন হইয়াছে অতএব উত্তর খণ্ডে তাহা উহ্য হইবে ইহাতে বাধা কি ?” সতকাম । “আমি জানি কাশাদ সূত্র উত্তর ন্যায় । গৌতম সূত্ৰেতে যাহা স্পষ্ট প্রতিপন্ন হইয়াছে বৈশেষিক সূত্ৰেতে যাহার বিরোধ না থাকিলে উহ্য করা যাইতে পারে । কিন্তু গৌতম সুত্রের কোন স্থলে ঈশ্বরাস্তিত্বের পোষক শব্দ আছে?” তর্ককাম । “গৌতম সূত্রে কি ঈশ্বর শব্দ নাই” সতকাম । “ আছে, গগণকুসুম শব্দের ন্যায় আছে” । তর্ককাম । *প্রহেলিকা যে আরম্ভ করিলা ” । সত্যকাম । • ক্ষন্তু মহসি । ঈশ্বর শব্দ আছে, কিন্তু ঈশ্বরাস্তিত্ব সংশয়াপন্ন করাই সে শব্দের তাৎপর্য পূর্ব পক্ষোক্ত ঈশ্বর শব্দ প্রয়োগ আছে, কিন্তু সূত্রকার স্বয়ং সিদ্ধান্ত করেন যে ঈশ্বর জগৎকারণ নহেন, পুৰুষ কর্ম অর্থাৎ অদৃষ্টই জগৎকারণ । এস্থলে আপাততঃ এমন বোধ হয়, কপিলের ন্যায় গোতমেরও অভিপ্রায় যে ঈশ্বর অদৃষ্ঠের প্রতিযোগী। পরন্তু বৃত্তিকার বিশ্বনাথ লিখিয়াছেন