পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/১৭২

৪র্থ সংবাদ । > や ? বিবেচনা করিলে দেখিবেন যে অপরিচ্ছিন্ন শক্তি সৰ্বেশ্বর সত্ত্বে অন্য কোন অকারণবৎ নিত্য পদার্থ কল্পনা করিলে কারণ গৌরব হয় । কারণ গৌরব দর্শন শাস্ত্রে মহা দোষ বলিয়া গণ্য । আর দেখুন অকারণবৎ নিত্য দ্রব্যান্তর কল্পনা করিলে পরমেশ্বরের সৰ্বেশ্বরত্বের হানি সম্ভবে কেননা যদি কোন পদার্থ তাহার কৃত না হয় তবে তাহার স পেক্ষও নয় তাহার ইচ্ছাধীনও নয়, সুতরাং তিনি উহার ঈশ্বর হইতে পারেন না, আর যদি তিনি কোন পদার্থের ঈশ্বর ও কৰ্ত্ত না হন তবে তাহাকে সম্বেশ্বর ও সন্ধকৰ্ত্ত কি ৰূপে বলা যাইতে পারে অতএব নিত্য দ্রব্যান্তরের কল্পনা ছাড়িয়া কেবল একমাত্র নিত্য কারণের মহিমা কৰুন যিনি সৰ্বেশ্বর সৰ্বকৰ্ত্ত বিশ্বেশ্বর বিশ্বনিয়ন্তী” । ন্যায়রত্ন সত্যকাম তুমি যে কথা বলিল। তাছা অসঙ্গত নহে বটে কিন্তু জিজ্ঞাসা করি যদি কেবল একটা মাত্র নিত্য পদাৰ্থ স্বীকার কর তবে জীবাত্মার কি মীমাংসা করিলা । জীবাত্মা তো জন্য পদাৰ্থ নহে তবে কি তুমি বেদান্তিরদিগের ন্যায় অদ্বৈত বাদী হুইয়া জীবাত্মা ও পরমাত্মার ভেদ নষ্ট করিব, তাহা না করিলেই বা কি ৰূপে একমাত্র নিত্য পদার্থ নির্ণয় করিবা, আর অদ্বৈত বাদ পরিহার করিলে নুন করে জীবাত্মাকেও দ্বিতীয় নিত্য পদার্থ কহিতে হইবে নচেৎ তোমার বাক্য বেদাস্তিরদিগের প্রতিপাদিত ঔপনিষদ বচন সদৃশ হইবে যথা আত্মৈবেদমগ্র আসাং পুরুষবিধঃ সোনুবীক্ষ্য নান্যদাত্মনোপশ্যৎ অত্ৰহি এতে সৰ্বে একং ভবস্তি” ।