পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ३ ० ষড়দর্শন সংবাদ । নাশ কখন হইতে পারে না যাহারা ইঞ্জিয় নিরস্ত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন তাহারা কেবল দয়া দাক্ষিণ নিরোধ করিয়াছিলেন মাত্র নচেৎ অন্যান্য পক্ষে বিলক্ষণ বিষয়াক্ত ছিলেন ইহা ভূরি ২ মহৰ্ষির বৃত্তান্তে প্রত্যক্ষ দেখা যায় । “ মানবী প্রকৃতি সংশোধনার্থ প্রবৃত্তিকে দুষ্য করিয়া একান্তু ছেয় বলিয়া অপবর্গের সাধন উপদেশ করাতে কেবল উপদেশকের অক্ষমতা প্রকাশ পায় যতি সন্নিপাত রোগ চিকিৎসক কোন বৈদ্যরাজ আসিয়া দীর্ঘ কাল পর্য্যস্ত উপদেশ করেন যে নিশ্বাস প্রশ্বাসের দ্বার সর্ব দোষের মূল কেননা তদ্বারা অন্তরে কফ শ্লেষ্মা জনক বায়ুর প্রবেশ হয় তাহাতেই শরীর বর্ণ হয় সুতরা নিশ্বাস প্রশ্বাসের দ্বার নষ্ট করিলেই রোগ নাশ ও শরীর সোস্থ্য হইবে, যদি কোন বৈদ্য বন্ধু আসিয়া এমত ব্যবস্থা করত নিশ্বাস রোধ দ্বারা রোগির প্রাণ নাশনে উদ্যত হয় তবে তাহাকে কি উত্তর দিব ? অথবা যদি কোন চিকিৎসক আসিয়া কঙ্কেন যে আহারের দোষেই বায়ু পিত্ত কফের বৈগুণ হয় তাহাই রোগের কারণ তন্নিমিত্ত একেবারে আকার ত্যাগ করা উচিত তবে এমত বৈদ্য রাজকে কি কহিবা । বোধ হয় তাঙ্কার ঔষধ গ্রহণের পূর্বেই অদ্ধ চন্দ্র দক্ষিণ দিয়া বিদায় করিৰ । “ আত্ম শুদ্ধ্যর্থ গোতমের ব্যবস্থাও তদনুৰূপ । কি উপায়ে প্রবৃত্তি শোধন সম্ভবে কি উপায়ে আত্মিক রোগের চিকিৎসা হইতে পারে তদ্বিষয়ে কিছু না বলিয়া একেবারে সিদ্ধান্ত করিলেন যে প্রবৃত্তি নিতান্ত দুষ্য, প্রবৃত্তি ও চৈতন্য নিরোধ কৰ্ত্তব্য। বৌদ্ধদিগের পাষণ্ডতাও বোধ হয় এমত