পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সৎ বাদ । ২২ ? : মামারদের প্রতিকুল করেন যে জগদ্বন্ধে অভেদ বাচক শ্রুতিই বলবতী অন্যান্য শ্রুতির তদনুযায় প্রতিপাল । করিতে হইবে । এখন আপনার কাহার মুখাপেক্ষ মা করিয়া বিবেচনা কৰুন সৃষ্টির লক্ষণ কি ? জগতের অন্তরে চেতনাচেতন উভয়বিধ বস্তু তা: তন্মধ্যে আত্মা চৈতন্য সম্পন্ন, অন্যান্য বস্তু সমূহ অচেতন জড় পদার্থ। আত্মার সম্বন্ধে অামারদের এবং বেদারিদের মত নির্বিশেষ, ভযপক্ষেরই সিদ্ধান্তু এই যে আত্মা অজ নিত্য এবং অসৃষ্ট । আত্মার উৎপত্তি নাই সুতরাং চেতন বস্তুর মুলকারণ আমারদের উদেশ্য নহে অচেতন জড় পদার্থ ময় জগতের সৃষ্টি কি হইতে হইল, সকলের উপাদান কারণ কি, কিসের পরিণামে नृछेि হইল, ইছাই আমারদের উদ্দেশ্য । মহর্ষি কপিল মীমাংসা করিয়াছেন আত্মা অর্থাৎ পুৰুষ নিত্য শুদ্ধ এবং মুক্ত, তাহাতে বিকার নাই, তবে তিনি কি ৰূপে অচেতন জড় পদার্থের উপাদান হইতে পারেন ? নিত্য মুক্ত আত্মার কি বিকার সম্ভবে, আর বিকার সম্ভব হইলেও কি তৎপরিণামে অচেতন জড় পদার্থের উৎপত্তি হইতে পারে । এমত উক্তি করিলে চেতনাচেতন আত্মানাত্মার প্রভেদ নষ্ট করিয়া বিবেকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয় । অপিচ জগতকে আত্মাজাত কহিলে এই বলা হয় যে শুদ্ধের পরিণামে অশুদ্ধ হইল, সুতরাং नृष्टिङ्ग দ্বারা কারণের অপকৰ্ম্ম প্রাপ্তি বলা হয়। একি কথা? সৃষ্টিতে উপাদান কারণের উৎকর্ষই সম্ভবে, বীজ হইতে কি তদুৎপন্ন শাখা পল্লব ফল পুষ্প সম্বলিত তৰুবর অপকৃষ্ট হইতে পারে? কিন্তু আত্মাকে