পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংবাদ । ২৪৯ “ তুমি বলিতেই যে চেতনের অনধিষ্ঠিত অচেতন প্রকৃতি হইতে এই শোভন বিচিত্র জগৎ রচনা হইয়াছে কিন্তু এই জগতের মধ্যে এমত কৌশল আছে যে নিপুণতম মানবও তাহা সম্পূর্ণ ৰূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে অক্ষম হয়, এমত অসংখ্য প্রকরণে বিচিত্র পদার্থের পরস্পর প্রতিনিয়ম যে কোন বিজ্ঞতম পণ্ডিত যাবজ্জীবন পরিশ্রম করিলেও তাহার সর্বাংশ বুঝিতে পারে না, প্রাণির অবয়ব রচনা এমত বিচিত্ৰ যে ব্যষ্টিভাবে প্রত্যেক অঙ্গের স্বতন্ত্ৰ কাৰ্য আছে এবং সমষ্টিভাবে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সমূহে জীবন রক্ষা ও প্রাণির সুখানুভব হইয়া থাকে । এমত রচনাকে তুমি সচেতন নিয়ন্ত এবং সঙ্কল্পক বিরহে উৎপাদ্য জ্ঞান কর । কীদৃশী রচনাকে এমত আকস্মিক কহিতেছ তাছা পুনশ্চ ভাবিয়া দেখ । উদ্ধে দিবাকর বিরাজমান, তাহা হইতে দীপ্তি এবং তেজ উৎপন্ন হয়, ইহাতে প্রাণিবগের অপরিমেয় উপকার দশে । কিন্তু ভুলোকে তদুপযোগী বায়ু "না থাকিলে ঐ দীপ্তি এবং তেজের ব্যাপ্তি হইতে পারিত না গৃহের অভ্যস্তরাদি অসুৰ্যম্পশ্য স্থল মধার কালেও অমাবস্যার নিশীথ তুল্য অন্ধকারাবৃত হইত এবং হিমালয় শেখরবৎ শীতল হইত আর রৌদ্র পাত স্থল সাক্ষাৎ আমি কুগু হইত। গৃহের বাহিরে গেলে একেবারে যেন ছিম গম্বর হইতে আমি কুণ্ড এবং নিবিড় অন্ধ তিমির হইতে প্রখর দীপ্তি প্রাপ্তি হইত । এমত অবস্থায় অন্মদ্বিধ প্রাণির জীবন সঙ্কট তাহ সহজেই বুঝিতে পার। সহস্ৰরশ্মি হইতে তেজঃপুঞ্জ নির্গত হইলে যদি বায়ু সহকারে . J بابامس