পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সপ্রবাদ । २ १ এমতং ভূত পদার্থ আছে যাহাতে যুক্তির অনুশীলন আদোষ, বরঞ্চ প্রশাসনীয়। আমি পূর্বেই নিবেদন করিয়াছি বটে যে মানব মুক্তিতে ঐশ্বরিক শাস্তের অতিরিক্ত শিক্ষা অসম্ভব। মানুষিক উপদেশ ঈশ্বরীয় উপদেশকে অতিক্রমণ করতে পারে না । কিন্তু যে২ভূত তত্ত্বানুশীলন মানৰ বুদ্ধিযোগে সম্ভাব্য তদ্বিষয়ে ঈশ্বরোক্ত আগমিক শিক্ষা নাই,কেননা তাহাসহজে প্রাপ্য হওয়াতে অতিমানুষিক উপদেশের অপেক্ষ। রাখে না কেবল বুদ্ভি অনুশীলন দ্বারা তাহা যথেষ্ট অনুভূয়। “ এমত ভূততত্ত্বের সহিত পরম পুৰুষার্থের নিকট সম্বন্ধ না থাকিলেও তাহ নিতান্তু উপেক্ষণীয় নহে ৷ পরমেশ্বরের সৃষ্ট পদার্থ সমূহ দশনে কেবল ভক্তির উদ্রেক সম্ভবে ভূত পদার্থ যাহার সৃষ্টি সত্য শাস্ত্রও তাঁহারই রচনা উভয়ই তাঙ্কার ক্রিয়া, অতএব কিপ্রকারে পরস্পর বিৰুদ্ধ হইবে । ভাক্ত শাস্ত্র, যাহা তাহার আপনার প্রণীত নহে, তাহা ভূত পদার্থ দ্বারা অমৃতবৎ প্রতীয়মান হইতে পারে, কিন্তু সত্য শাস্ত্র অবশ্য ভূত পদার্থ সঙ্গত হইবে । “ তবে মনুয্যের কৰ্ত্তব্য কি ? আদৌ সত্য শাস্ত্রের জন্মুেষণ করিয়া তদন্তৰ্গত বিধি নিষেধ সম্পূর্ণ ৰূপে অবগত হওয়া উচিত, এবং তন্নিমিত্ত বুদ্ধি ও বিবেকের অনুশীলন কন্তব্য । ভূত পদার্থ দর্শনে জগৎপাতার শক্তি ও কৌশল বিশেষ ৰূপে প্রকাশিত হয়, অতএব তদৰ্শনাধিকার সামান্য অধিকার নহে । দেখ রামায়ণের ভাষ্যকার তুলসী দাস চিত্ৰকূট পৰ্বতে শ্রীরামচন্দ্রের পদাঙ্ক দশন জাত দশরথ তনয় ভরতের আনন্দ কেমন অপুৰ বাক্যদ্বারা বর্ণন করিয়াছেন, যথা