পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" ষড়দর্শন সংবাদ । মহর্ষিগণ ব্যষ্টি ভাবে ভূত পদার্থের প্রত্যক্ষ পরীক্ষা পূর্বক সমষ্টিভাবে নিয়ম বন্ধন না করিয়া একে বারেই সামান্য সূত্র রচনা করিয়াছিলেন । তাহাও শিষ্য অথবা শ্রোতাকিস্ব পাঠক বর্গের যুক্তিপুরঃসর আলোচনার্থ রচনা করেন নাই, কেবল শ্রদ্ধা পূর্বক হৃদয়ঙ্গম করণার্থ উপদেশ করিয়াছিলেন । যুক্তি তর্কাদি করা শিষ্যের পক্ষে নিষিদ্ধ ছিল । ভাষ্যাদি করিবার নিষেধ ছিল না, কিন্তু তাহাও আদালতের বেতন গাছি উকিলের ন্যায় গুৰুবাক্য পোষক করিতে হইত। তাহাতে আবার নানা প্রকার বিলক্ষণ বিদ্যা একত্র মিলিত হওয়াতে সকল দিকেই হানি হইয়াছে । পৃথিব্যাদি পঞ্চভূতের রূপ রস গন্ধাদি নিৰূপণের সহিত নীতিশাস্ত্রের কিম্বা ধৰ্ম্মশাস্ত্রের নিকট সম্বন্ধ নাই তথাপি এ সকলের সিদ্ধান্ত্র সমকালীন হইয়াছে । ইহাতে সত্য নির্ণয়ে মহা বাধা পড়িবার সম্ভব । “ কিন্তু গোতম কণাদাদি পূর্ব ঋষিগণ এই ৰূপে স্ব ২ কপোল কল্পিত ষোড়শ বা ষট্ পদার্থাদি বিবেচনাকে মোক্ষেপায় কহিয়াছেন বলিয়া অামারদের পক্ষে ভৌতিক পদার্থ নির্ণয়কে পরমপদার্থ নির্ণয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট করিবার প্রয়োজন নাই । শঙ্করাচাৰ্য্য কহিয়াছেন, নহি পৰ্বজে মূঢ় আসাদিতাত্মনাপি মূঢ়েন ভবিতব্যমিতি কশ্চিদস্তি প্রমাণ অর্থাৎ পূৰ্বজ মূঢ় ছিলেন তন্নিমিত্ত আপনাকেও মূঢ় হইতে হুইবেক এমত কোন প্রমাণ নাই ।

কিন্তু পূৰ্ব স্ত্রকার ঋষিগণের বিষয়ে ইহা মনে রাখা কৰ্ত্তব্য যে র্তাহারদের মহা পাণ্ডিত্য থাকাতে শিষ্য বর্গ স্বতই হারদের বচনকে আগু বাক্য জ্ঞানে তদ্বিষয়ে যুক্তি