পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१ २ ষড়দর্শন সংবাদ । ত তাহাকে জগতের স্রষ্টা বলি না। বলিই মা বা কেন, তাহার কারণ নানা শ্রুতিতে ভেদনিৰ্দেশ আছে। তন্মধ্যে । এক শ্রীতির মৰ্ম্ম এই যে “ আত্মাই দ্রষ্টব্য, আত্মাই শ্রোতব্য, আত্মাই মন্তব্য, আত্মাই নিদিধাদিতব্য, আত্মাই অনৃেষ্টব্য, আত্মাই বিজিজ্ঞাসিতব্য । আর এক শ্রুতিতে বলেন * অহে সৌম্য তৎকালে (জীব) সতের সহিত সম্পন্ন হয়” । । অপর একটী শ্রুতির তাৎপৰ্য্য এই যে শারীর আত্মা প্রাজ্ঞ আত্মার সহিত একী ভাব প্রাপ্ত হয়’ ! এই সমস্ত শ্রুতিতে প্রতীয়মান কৰ্ত্ত কৰ্ম্ম প্রভৃতি ভেদনিৰ্দেশই ব্রহ্মকে জীবাত্মা হইতে অধিক বলিয়া প্রতিপন্ন করিতেছে । তবে তোমরা এক কথা বলিলে বলিতে পার যে • সেই ব্রহ্মই তুমি’ ইত্যাকার অভেদ ও ত শ্রুতি প্রতিপাদিত হইয়াছে, তবে পরস্পর বিৰুদ্ধ ভেদ ও অভেদ কিৰূপে সন্তবিতে পারে? আমরা বলি এ দোষই নয় । কারণ আমরা প্রকৃতস্থলে পূৰ্বেই ব্যবস্থাপিত করির আসিয়াছি যে তাদৃশ উভয় সম্ভব বৃহদাক:ণ ও ঘটাকাশের নায় অসম্ভব নহে । আরো বলি যখন সেই ব্ৰহ্মই তুমি’ এইৰূপ অভেদনিদেশদ্বারা অভেদ প্রতিবোধিত হয়, তখন জীবের সংসারিত্ব থাকে না, এবং ব্রহ্মেরও সৃষ্টিকর্তৃত্ব থাকে না, কারণ মিথ্যা জ্ঞানজন্য সমস্ত ব্যবহারই তৎকালে সমীচীনৰূপে বাধিত হইয়া পড়ে, সুতরাং কাহা হইতে সৃষ্টি হইবেক, এবং কাহা হইতেই বা হিতাকরণ প্রভৃতি দোষগণ সমুৎপন্ন হুইবেক? আমরা পূর্বে ভুয়োভুয়ং বলিয়া আসিয়াছি যে হিতাহিত করণাদিৰূপ সংসার বস্তুতঃ কিছুই নয়, কেবল