পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৩৮০

৮ম সংবাদ । \3월 ন বিৰুদ্ধবাদীদিগের আর একটা আপত্তিও পরসূত্রে । প্রদর্শিত ও খণ্ডিত হইয়াছে। যথা “ উপসংহার দর্শনে আমাদের মতের অস্বীকার ক্ষীরদৃষ্টাস্তে সঙ্গত হয় না”। শঙ্করাচার্য ব্যাখ্যা করেন “ যদি ভোমরা বল লৌকিক একটা কাৰ্য্য করিতে গেলে নানাপ্রকার উপকার সামগ্রীর জাহরণ করা আবশ্যক দেখিতে পাইতেছি, তবে আমরা কিৰূপে স্বীকার করিতে পারি যে একমাত্র অদ্বিতীয় চেতন ব্ৰহ্ম এই চরাচর জগতের কারণ হইতে পারেন । দেখ কুলাল সুবিন্দ প্রভৃতির ঘট পট প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করিবার পূর্বে মৃত্তিকাপিণ্ড চক্র मूत्वाि অনেক সামগ্ৰী সমাহরণ পূর্বক তাদৃশ সাধন সম্পন্ন হইয়া তত্তৎকার্য করিয়া থাকে। ব্রহ্মের এই ৰূপ সাধন সামগ্ৰী আহরণ করিবার সম্ভাবনা নাই । কারণ তাহাকে অদ্বিতীয় বলিয়া অসহায় বল তোমার অভিপ্রেত হইয়াছে । এখন যদি তিনি সাধনাস্তর বিহীন হইলেন তখন তাহার জগতের সুষ্ঠুত্ব কিৰূপে উপপন্ন হইতে পারে । যদি এটা উপপন্ন না হয় তবে তাঙ্কাকে জগতের কারণ বলা যাইতে পারে না । আমি । ইহ দোষ বলিয়াই স্বীকার করি না । দুবের স্বভাব বিশেষ মানিলে আর কোন অনুপপত্তিই থাকিতে পারে না। । ক্ষীরাদি ইহার দৃষ্টান্ত স্থল । আমরা লোকে দেখিতেছি যেমন দুগ্ধ দধিৰূপে ও জল হিমৰূপে স্বয়ংই পরিণত হয় । জন্য কোন সাধন অপেক্ষা করে না এস্থলেও তদ্রুপ হুইবেক বাধা কি? এই দৃষ্টাস্তের উপর তুমি এখন বলিতে পার আতঞ্চন ও উষ্ণতাদির প্রয়োগ না করিলে দুগ্ধাদি কখন