পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**-२. बङ्झश्वन ज-बाश् । স্বীকার করাই হইয়াছে । বেদকে যখন ব্রন্ধের মূল বলিয়া স্বীকার করা হইয়াছে, তখন রলিতে হুইবেক ব্রহ্মের প্রমাণই বেদ, ইন্সিয়াদি তাহার প্রমাণ নহে । বেদে যেৰূপ কহিয়াছেন, তাহাই মান করা উচিত । বেদে স্পষ্টই প্রতিপাদন করিয়াছেন, ব্রহ্মের সাবয়বত্ব ও কৃৎসু প্রসক্তি উভয়ই নাই । বিবেচনা কর, লৌকিক মণিমন্ত্র মহৌষধী প্রভৃতি নানা বস্তু আছে, ঐ সকল বস্তুর শক্তিকে দৈশিক ও কালিক নিমিত্তের বৈচিত্ৰ হেতুক পরস্পর বিভিন্ন অনেক কার্যে প্রকাশ পাইতে দেখা যায়, কিন্তু কোন কার্যে কি প্রকার শক্তির আবির্ভাব হয়, তাহা জানিতে হইলে বিশেষ উপদেশ আবশ্যক করে, কেবল তকদ্বারা অবগত হইতে পারা যায় না । ফলতঃ এই বস্তুর এই প্রকার, এই পরিমিত, এই প্রয়োজনের, এই বিষয়ের, এই ২ শক্তি আছে, ইহা উপদেশ ব্যতিরেকে অবগত হওয়া বড় সহজ ব্যাপার নহে । যখন লৌকিক পদার্থের এমন গতি হইতেছে, তখন অচিন্তু প্রভাব ব্রহ্মের ৰূপ কোন শব্দোপদেশ ব্যতিরেকে নিৰূপিত হইবার বিষয় কি ? পৌরাণিকেরা মুক্তকণ্ঠে কহিয়াছেন ‘প্রকৃতি হইতেও সূক্ষ্ম যে বস্তু তাহার নাম অচিন্ত । অতএব অচিন্ত ভাবসকলকে প্রতিপন্ন করিতে হইলে তর্কের যোজনাকর অনুচিত । অতএব অতীন্দ্রিয় পদার্থের যাথামবোধ শব্দমূলক ट्रेझ স্থির সিদ্ধান্ত । যদি বল ব্রহ্মকে নিরবয়ব বলিবে অথচ তাহার সমুদায় পরিণাম মানিবে না এমন বিৰুদ্ধ পদার্থ কখন বেদশব্দদ্বারাও প্রতিপন্ন করান যাইতে পারে না !