পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংবাঙ্গ । ગના बम्; 4क्री আপত্তিও সূত্রে উদ্ভাবিত হইতেছে যথাএইৰূপ নয়, প্রয়োজন আছে’ শঙ্করাচার্য এইৰূপে ইহার ভাষ্য আরম্ভ করেন যে জগৎ যে চেতন কর্তৃক সৃষ্ট ইছা প্রকারাস্তুর দ্বারা অrক্ষিপ্ত হইতেছে । চেতনৰূপ পরমাত্মা এই জগদ্বিম্ব রচনা করিতেই যোগ্য নহেন অর্থাৎ জগদ্বিরচনে তাহার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন ব্যতিরেকে কেছ কখন কোন কার্যে প্রবৃত্ত হয় না বস্থারম্ভ কার্য্যে প্রবৃত্তির কথা দূরে থাকুক সামান্য কোন লোকে কার্যে প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্বেও বিবেচনা করিয়া দেখেন সে কার্য তাহার কোন প্রয়োজনোপযোগী হয় কি না। এতাদৃশ লোক প্রসিদ্ধির অনুবাদিন শ্রুতিও দেদীপ্যমান আছে যথা— অরে মৈত্রেয়ি । জগতীগত সকল বস্তু যে কাছার প্রিয় হয় সে সেই সকল বস্তুর ভাল হুইবে বলিয়া নয় কিন্তু কেবল আপনারই জন্য”। এই উচ্চনীচ জগৎ প্রপঞ্চ রচনা করিতে হুইবেক এই প্রবৃত্তি বস্থারম্ভ বলিতে হুইবেক । যদি এতাদৃশ প্রবৃত্তি চেতনৰূপ পরমাত্মার আত্মপ্রয়োজনের উপযোগিনী বলিয়া কল্পনা করা যায় তাহা হইলে শ্রুতি প্রতীয়মান পরমাত্মার পরিতৃপ্তভাব বাধ্য হইয়া পড়ে, আর যদি প্রয়োজনাভাব স্বীকার কর তাহা হইলে প্রবৃত্তির অভাবও হইয়া পড়ে। যদি বল সচেতন ব্যক্তি উন্মাদগ্ৰস্ত হইলে ত বুদ্ধির দোষে বিনা প্রয়োজনেও কোন একটা কাৰ্য্য করিতে প্রবৃত্ত হয় পরমাত্মাও সেইৰূপ প্রবৃত্ত হইবেন, বলিব হানি কি ? ইহার উত্তর তাহার সর্বজ্ঞত্বের হানি হইয় পড়ে। এতাবত । স্থির হইল চেতন হইতে জগৎ সৃষ্টিবাদ পক্ষ নিৰ্দ্দোষ নহে* ৷

  • * . . A