পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংবাদ ! 8 X > অস্বীকার করা হয় এমত নহে, তাহাকে নিমিত্ত কারণ বলিলেই ধৰ্ম্ম এবং জাস্তিক্য রক্ষা হয়, জগৎকে তাহার সজাতীয় বলিবার প্রয়োজন নাই”। * তর্ককাম । “ সে কি? অবস্তু হইতে পরমেশ্বর কি ৰূপে বস্তু সৃজন করিতে পারেন”? সত্যকাম । “ ইহার উত্তরে আমি ব্যাসোক্তি স্মরণ করিয়া কহিব, দেবাদিৰং । ভগবান সুত্ৰকার কহিয়াছেন যে, দেবতা এবং ঋষিবৃন্দ স্বকীয় ইচ্ছা প্রভাবে নানা কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে পারেন, তবে পরমেশ্বর স্বেচ্ছানুসারে কোন উপাদান এবং উপকরণ ব্যতীত জগৎ সৃষ্টি করিবেন ইহাতে বাধা কি? অন্য কোন প্রকার সৃষ্টিবাদ ঈশ্বরের মহিমোপযোগি হয় না, উপাদান উপকরণাদির কল্পনা নিপুয়োজন এবং বিবিধ বিষ্ণু সমনিত । সেই সকল বিস্তু দেখিয়াই বেদব্যাসের আধুনিক শিষ্যের বৌদ্ধ পরিকল্পিত মায়াবাদের শরণ লইয়াছেন, কিন্তু তা হাতে এক ভ্রান্তি পরিহার পূর্বক তাহারা ভ্ৰমান্তরের কুপে পতিত হইয়াছেন । বেদব্যাস জগৎ বুহ্ম অভেদ উপদেশ করিয়াছিলেন, আধুনিক মহাশয়ের জগতের মধ্যে বিজাতীয় অশুদ্ধতার লক্ষণ দেখিয় সূত্রকারের বচন রক্ষা করত জগৎকে ছায়া ও বিম্ব বলিয়া ঈশ্বরের আত্মিক শুদ্ধতা রক্ষা করিতে যতু করিয়াছেন, কিন্তু জগৎকে অবস্তু কহিলে প্রকারান্তরে এই বলা হয় যে, ঈশ্বর কোন কাৰ্য্য করেন নাই, সুতরাং যদি বস্তুতঃ কাৰ্য্যাভাবই সিদ্ধ হইল, তবে কারণ সম্ভাবের কোন প্রমাণ রছিল না, আর মানবীয় আত্মও যদি ব্যবহারিক জীব মাত্র