পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংবাদ । ৪২৩ শঙ্করাচার্য্যের বচন স্মরণ করিয়া আমিও কহিতে পারি, জগৎ সত্তা মানব কল্পনার নিরপেক্ষ ।

  • যদি ঈশ্বর এবং জগতের অস্তিত্ব মধ্যে এই মাত্র প্রভেদ স্থাপন করিতে চাহ, যে ঈশ্বর স্রষ্ট জগৎ जूटे পদার্থ, তাহাতে আমার কোন আপত্তি নাই, কিন্তু সে স্থলে জগদব্রহ্মে অভেদ কহ। যাইতে পারে মা, তাছা কহিলে ঈশ্বরের লাঘব এবং জগতের গৌরব করা হয় ।
    • কিন্তু ঐ জগৎকে আবার ছায়ামাত্ৰ কহিলে উহার প্রজা ভাবে অস্তিত্বে ব্যাঘাত পড়ে, কেননা কোন সৃষ্ট বস্তু ছায়ামাত্র হইতে পারে না । ছায়া কাৰ্য্যৰূপিণী হইয়া কারণের বিজ্ঞাপনী হইতে পারে, তাহা আমি অস্বীকার করি না, কিন্তু যেমন শঙ্করাচার্য আপনি কহিয়াছেন, ছায়ার সত্তা ছায়াপাতক পদার্থ ব্যতীত কোন স্বতন্ত্র আধার ভূমির সাপেক্ষ, ঐ আধার ভূমির বাস্তবিকী সত্তা স্বীকার করিতে इङ्ग्रेहरु সুতরা তাহা ছায়াপাতক হইতে পৃথক বস্তু, অতএব ছায়াপাত বাদেও অদ্বৈতবাদের বাধা দেখা যায় ।

• অধিকন্তু যদিও জগৎ ছায়ামাত্র অবস্তু হয়, তথাপি সৰ্ব খলিদ ব্রহ্ম বলিবার তাৎপর্য কি ? এই সকল অবস্তুকে ব্রহ্ম বলাতে কি তত্ত্ব জ্ঞান লাভ হয় ? অপর এক মুখে দুই বিৰুদ্ধ কথার প্রসঙ্গ কেমন অযুক্ত। আব্রহ্মস্তম্ব পৰ্য্যন্তং সৰ্বং কৃষ্ণ শচরাচরখ বলিয়া আবার বল ব্রহ্মাদিতৃণ পর্যন্তং সৰ্বং মিথৈব স্বপুবৎ যদি স্বপুবৎ হইল, তবে জগতীস্থ কল্পিত তাপ ও দুঃখ নিবারণের নিমিত্ত এত কষ্ট সাধন কেন ?” ।