পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৪৯৫

8 ) o ষড়দর্শন সংবাদ । নিধান কহিলেই হয় । এই কি তোমার অভিমত? অামার অভিমত এবম্বিধ নয় আমি এমন বিশ্বাস করিতে পারি না যে জগৎ পাতা কেবল দ্বৈধ এবং সংশয় বিস্তার করণার্থ মনুষকে তর্ক বলে, ভূষিত করিয়াছেন অথবা সত্যের সদ্ভাব তিরোহিত করিয়া কেবল অন্যথা বাদ করিলেই তর্ক ভূষণ কিম্বা তর্কালঙ্কার হওয়া যায়। পরমেশ্বরের ইচ্ছল এতাদৃশী নহে তাহার অভিপ্রায় এই যে মনুষ্য ধৰ্ম্মজ্ঞান ও সত্যপ্রিয় হয় এতদৰ্থে তিনি ধীশক্তি দিয়াছেন যেন তদ্বারা লোকে সৃষ্টির মধ্যে সৃষ্টার হস্ত চিহ্ন প্রকাশ করিতে পায় এবং তাহার প্রকাশিত শাস্ত্র জ্ঞান লাভ করে । শাস্ত্র সম্ভাব ব্যতীত তত্ত্বজ্ঞান লাভ করা কখন সাধ্য নহে বামনের পক্ষে চন্স স্পর্শ বরং সম্ভাব্য তথাপি আগম ব্যতীত ঐশ্বরিক তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্তি কখন সাধ্য নহে ” সত)কাম তোমার এ বাক্যে আমি বিরোধ করি না শাস্ত্র শিক্ষার অবশ্য প্রয়োজন আছে, তাগম শব্দে শাস্ত্র সাধারণ বুঝাইলে আদিও তোমার নায় “ জাগমিক” উপাধি অধিকার করিবার যোগ্য । তুমি যথার্থ বলিয়াছ যে শ্রদ্ধাই বিদ্যা চচ্চার উদ্দিশ্য, সকল বিদ্যাই শ্রদ্ধা পরা, সংশয় চ্ছেদই তর্কের তাৎপৰ্য্য, সৎ শয় বধন নহে, তর্কবল সত্য প্রকাশক সত্য তিরোধায়ক মহে, সুতরাং তৰ্ক দ্বারা যদি শাস্ত্র সম্ভাব অলীক বোধ হয় তবে সে তর্ক যথার্থ তর্ক নয়, কিন্তু যেমন রাজা নিৰুদেশ হইলেও কোন প্রতারক রাজাকে গ্রহণ করা উচিত নহে, তদ্রুপ যথার্থ শাস্ত্র আপাতত অপ্রাপ্য হইলেও মিথ্যা শাস্ত্র পরায়ণ