পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ ষড়দর্শন সংবাদ । অতীব কঠিন, আমি স্বীয় অভিপ্রায় লিপি ৰদ্ধ করিয়াছি কিন্তু ইহাতে অনেক দোষের সম্ভব, সাহস করিয়া বলিে পারিন যে তোমার শ্রোতব্য ।” মদীয়া উক্তি ৷ তোমার যে বিষম অভিপ্রায়, শুনিতে ভয় হয়, কিন্তু এ বিষয়ের তুমি আলোচনা করিয়াছ বটে । অতত্রব কি লিখিয়াছ, পড় দেখি ” এই কথা শ্রবণ করিয়া সত্যুকাম নিলু লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করিতে লাগিলেন । “ ষড় দর্শনের পূর্বাপর কথা নিৰূপণ করা সহজ নহে । প্রাচীনের গদ্যেতে পুরাবৃত্ত রচনা করেন নাই, কোন কালে কি হইয়াছিল তাহা এক্ষণে নির্ণয় করা যায় না। অস্মদীয় পূর্বের আদে কবিতার মাধুৰ্য্যে মোহিত হওয়াতে কেহই কোন কালে সে মোহন হইতে মুক্ত হয়েন নাই । ভক্তিরহস্য প্রবন্ধে কবিতা রচনা করিলে কোন হানি হইত না, কেননা ছন্দোবদ্ধ পদ কে ভক্তির উপকরণ কহ যাইতে পারে। কিন্তু পুরাবৃত্ত ও দর্শনশাস্ত্র এবং পদাৰ্থ বিদ্যাতেও তাহারা পদ রচনা করিয়াছেন । তাহার সাক্ষী ঈশ্বর কৃষ্ণের কারিক এবং ভাস্করাচার্যের গোলধ্যায়। দশন ও গণিত শাস্ত্রের কথা স্বভাবত রসাত্মিক নন্থে সুতরা পদার্থ নির্ণয়ের সূক্ষ জ্ঞান লাভ সহ কবিতার রসাম্বাদন করিতে পারলে দুই পক্ষেই লাভ। কিন্তু দুই পক্ষে লাভ করিতে গেলে দুই পক্ষের হানিরও সম্ভব। পুরাবৃত্ত ও পদার্থ নির্ণয় শাস্ত্রে তত্ত্বন্নিষ্ঠ যথার্থানুভবই প্রাপ্য, কবিতার রসাম্বাদন স্বভাবতঃ প্রাপ্য নহে, যাহ। প্রাপ্য