পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

挚岛 ষড় দর্শন সংবাদ । প্রসাদাৎ দৈববিদ্য জ্ঞান করিত, সুতরা গ্ৰন্থরচনাকেও দৈবরচনা বোধে বিশেষ পূজা করিত । তাহাতে আবার মন্ত্রসংহিতা দেবস্তুবাত্মক । সুতরা যাহারদের বর্ণপরিচয় ছিল না তাহারা আরো ভক্তিপূর্বক শ্রবণ করিত এবং বিষয় কন্মের অবসরে যথা শক্তি আবৃত্তি করিত । যাহারদের বর্ণ পরিচয় ছিল তাহারাও দেবারাধনার নায় পাঠ করিত ।

  • ছন্দোবদ্ধ স্তোত্র হইলে ভক্তিরসের বিশেষ উদ্রেক হয় সন্দেহ নাই। মন্ত্রসমূহের মধুর ছন্দ গীত বাদ্য সহকারে উচ্চাৰ্যমাণ হইলে বক্তা ও শ্রোতা উভয়েই মোহিত হইবে ইহাতে আশ্চর্য কি? সুতরাং সকলেই মন্ত্রপাঠকে দেববাণী জ্ঞান করিত তন্নিমিত্ত কাব্যকরেরাও লিখিয়াছেন যে বেদপাঠ শ্রবণে পশু পক্ষী প্রভৃতিও স্তব্ধ হইত । f

... এইৰূপ মন্ত্রপাঠে যে শ্রদ্ধা জন্মিয়াছিল তাহা সহজেই অখিল বেদেতে আরোপিত হইল। ব্যাখ্যার কথা লোকে সামান্য জ্ঞান করিত, পুৰুষপরম্পরায় যেমন প্রতিপন্ন হইয়াছিল তাছাই সকলে গ্রহণকরিত । কেহই স্বতন্ত্ৰৰূপে বেদার্থ প্রতিপাদনে সাহসিক হইত না সৃতরা একবার যে প্রকার রীতি ধার্য হইয়াছিল তাহাই উত্তরকালে বলবতী হইল । ফলে সকল দেশের লোকই শাস্ত্রালোচনা ত্যাগ করিয়া কেবল ব্যকহারের উপর নির্ভর রাখিয়া দিন যাপন করিয়া থাকে । * আদ্যাবধি বেদেতে কেবল পণ্ডিতবৃন্দের অধিকার ছিল, পণ্ডিতবৃন্দই মন্ত্রপাঠ করিতেন, মন্ত্রের নামান্তর বৃক্ষ,তন্নিমিত্ত মন্ত্রপাঠক কোবিদ্বগের নাম বাহ্মণ হইল। তৎকালে বর্ণ ভেদ ছিল নাইহার প্রমাণ মহা ভারতের এক বচন পূর্বে উদ্ধৃত