পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ র সPবাদ । - b-> নচেৎ তাহার সূত্রজ্ঞান দ্বারা যোগবলের আধিক্য হইলে কোন শাসন থাকিত না । দার্শনিক পণ্ডিতবৃন্দ বৌদ্ধ ধর্মের নিরাকরণ চেষ্টায় কেবল জগদ্বিনাশের পথ প্রস্তুত করিয়াছেন পদ্মপুরাণোক্ত যে দূষণ পাঠ করিয়াছি তাহা অন্যায় নহে । সকলেই বিহিত কৰ্ম্ম লোপ করিবার যত্ন করিয়াছেন, কৰ্ম্ম লোপ করিলে আর রহিবে কি? বর্ণাশ্রমে আমার বড় আস্থা নাই তাহা তোমরা জান কিন্তু হিতাহিত কৰ্ম্মের বিচার না করিয়া একেবারে কৰ্ম্ম লোপ করিবার উপদেশ করাতে কেবল অসৎকর্মের বৃদ্ধি সম্ভবে । বেদেতেও আমার অধিক শ্রদ্ধা নাই কিন্তু যে মুখে বেদকে ব্ৰহ্ম বাক কহ হইল, তাহাতেই আবার আনুশ্রুবিক ক্রিয় কলাপকে ত্রিতাপ নাশনে অসমর্থ কহাতে কেবল অধৰ্ম্ম ও স্বৈরিতা বৃদ্ধির সম্ভব । বেদ বিহিত ক্রিয় যদি পরমর্থের উপায় না হইল তবে বেদ ব্ৰহ্ম-নিশ্বসিত কহিবার প্রয়োজন কি? আর বেীদ্ধেরদের ন্যায় বেদ নিন্দার বা অবশিষ্ট্র রহিল কি ? • ফলে দার্শনিক পণ্ডিত বৃন্দ বৌদ্ধ খণ্ডন প্রতিজ্ঞ করিয়া বৌদ্ধ পোষণই করিলেন । বৌদ্ধের নিরীশ্বরবাদী কি না তাহা ঝটিতি নির্ণয় করা যায় না, কিন্তু বেীদ্ধেরা যদি নিরীশ্বর বাদী হয় তবে এবিষয়ে কপিল ও কণাদ তাহারদের হইতে বড় নুন হইবেন না । কপিল তো স্পষ্ট নিরীশ্বরবাদী আর কণাদও অদৃষ্টকে জগৎ সৃষ্টির কারণ কহিয়াছেন । তুলনেতে সকলেই প্রায় সমান হইলেন । পাষণ্ড যেমন দার্শনিকেরাও তেমনি” ।