এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২য় সংবাদ । 》° পূর্বক কহেন দেখ এস্থলে কৰ্ম্মের গন্ধও নাই , তস্মাৎ জ্ঞানমেক মুক্ত ক্রিয়ায়াগন্ধমাত্রসাপলুপ্রবেশ ইহ নোপপদ্যতে ।
- ষড়দর্শনের এই স০ক্ষিপ্ত বিবরণের পর অধিকন্তু বক্তব্য এই যে প্রাচীন পণ্ডিতেরা জগতের উপাদান কারণের মাগ, ণেই এবস্তৃত অসংলগ্ন মতের গোল চক্ৰে পড়িয়াছিলেন । মানবীয় কাৰ্য উপাদান ব্যতীত হয় না বটে, সুবর্ণ ন পাইলে স্বর্ণকার চন্দ্রহার করিতে পারে না এবং কাঠের অভাবে তক্ষকের কার্য্যও হয় না কিন্তু জগৎ সৃষ্টি তক্ষক অথবা স্বর্ণকারের কার্যের ন্যায় নহে । ইহা পরমেশ্বরের কাৰ্য্য, তাহার অনন্ত শক্তি এবং অচিন্ত কৌশল, তাহার ইচ্ছায় উপাদান ব্যতীত नृछेि হইবার অসম্ভাবনা কি ? কিন্তু প্রাচীনের বিপরীত ভাবিয়া নিত্য উপাদানের অনুেষণে ব্যাপৃত ছিলেন । ঔপনিষদ মতে পরমাত্মাই জগতের উপাদান কারণ ন্যায় এবং সাংখ্য সূত্রে এই ঔপনিষদ মতের দূষণ আছে ঐ সুত্রকারের কহেন শুদ্ধ বুদ্ধ আত্মা কিৰূপে অশুদ্ধ জড় পদার্থের উপাদান হইবেন সুতরাং নৈয়ায়িকেরা পরমাণুর কল্পনা করিলেন এবং সাংখ্যেরা অচেতন প্রকৃতির কথা জানিলেন, আর ইহারা স্ব২ কল্পিত অচেতন উপাদান স্থির করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন । নিমিত্ত কারণের প্রসঙ্গ করি লেন না কাহার কৌশলে এই অচিন্ত্য রচনা নিয়ম বদ্ধ হইল সে বিষয়ের চচ্চা করিলেন না । তন্নিমিত্ত বেদান্ত দর্শনে ন্যায় এবং সাংখ্যের দুষণ দেখা যায় । কোন জড় পদার্থ কি স্বতঃ এমত নিয়মিত রচনা করিতে পারে ?
