যামিনীবাবুর সহকারি, তবে যতিবাবুর সঙ্গে প্রয়োজনে এখানে ওখানে যেতে সে এক পায়ে খাড়া।
দৃষ্টিহীন পিতা দুই পুত্রের কর্মতৎপরতায় অতিশয় আনন্দিত। ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এবার দুর্গাপূজা হবে আরও ধুমধাম করে। তিন দিন সারা গ্রাম প্রসাদ পাবে, নিমন্ত্রণ যাবে দূর গ্রামেও, জেলা সদর এবং ইউরোপীয় চা’কর সাহেবদেরও নিমন্ত্রণ থাকবে। মহানবমীতে হবে পৌরাণিক পালা। গ্রামের যুবকরা ভাদ্রর শুরু থেকেই মহড়া দিচ্ছে মণ্ডপে। এ জমায়েতে যতীন্দ্রমোহন স্বদেশি বার্তা প্রচারের সুযোগ ছাড়তে নারাজ। কনিষ্ঠ ভ্রাতার সঙ্গে পরামর্শক্রমে পালার শুরুতে এবং ভেতরেও স্বদেশি গানের সংস্থান রাখার কথা হচ্ছে।
অষ্টমীর সন্ধ্যাবেলা সঙ্গীসাথী নিয়ে হাজির হলেন চা বাগানের ম্যানেজার সাহেব। পূজার প্রসাদে আপ্যায়িত হতে কোন অসুবিধা নেই তাঁদের। প্রসাদের প্রতিটি পদই তাঁদের কাছে ডেলিসিয়াস। সব কিছুতেই তাঁদের অদম্য কৌতূহল। মায়ের মণ্ডপের সামনে চেয়ার পেতে বসতে দিলে যতীন্দ্রমোহনকেও পাশে বসতে হল। তাঁদের এত প্রশ্নের উত্তর আর কে দেবে? দুর্গার কেন দশটি হাত? মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেণ্ট হাতে ওই চার্মিং deity কি গ্রিক গডেস মিউজের সঙ্গে কোন ভাবে রিলেটেড? কার্তিককে ওয়ার ডিটি হিসেবে সনাক্ত করতে কোনও আসুবিধা হচ্ছে না, কিন্তু who is this Old God- seemingly an idiot?
যতীন্দ্রমোহনের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর, He is the philosopher in the divine pantheon. And you know - philosophy amounts to idiocy।
বোঝা গেল এ সাহেব একেবারে আনপড় সাদা চামড়াওয়ালা নয়। তবে জমিদারবাড়ির সন্তান, এই rebel young man এর প্রতি তাঁরও মুগ্ধবোধ বেড়ে গেল।