পাতা:ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা - সঞ্জীব দেবলস্কর (২০২৩).pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা
১০৩

পেলেন। ইতিমধ্যে তিনি অবশ্য চিফ কমিশনার হিসেবে কার্যকালে আসামে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এই গভর্নর শাসিত প্রদেশের ‘আইন পরিষদে’ সুরমা উপত্যকা থেকে ১৬ জন সদস্যের মধ্যে সরকার মনোনীত সদস্য হিসেবে রায়বাহাদুর বিপিনচন্দ্রও একটি স্থান লাভ করলেন। তিনি যখন এই রিফর্মড কাউন্সিল বা আইন পরিষদের অধিবেশনে, অনুজ স্বদেশি ভ্রাতা যতীন্দ্র তখন ব্রিটিশ কারাগারে বন্দি। সুরমা এবং আসাম উপত্যকার কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রবল বিরোধিতা এবং প্রতিরোধের মধ্যেই অধিবেশন শুরু হল। ভূ-স্বত্ব এবং প্রজাস্বত্ব আইনের প্রস্তাব কোন মতেই পাশ করানো গেল না। কিন্তু জনমত উপেক্ষা করেই প্রিন্স অব ওয়েলসের আগমনকে স্বাগত জানানোর প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। লোক্যাল বোর্ড বিষয়ক একটি প্রস্তাবে অভিমত দিলেন বিপিনচন্দ্র। তা ছাড়াও রাজ্যে একস্ট্রা অ্যাসিস্টেণ্ট কমিশনার, সাবডেপুটি পদ পুরণের উপরও জোরালো বক্তব্য রাখলেন। গোচারণ ভূমিকে করমুক্ত করা, আফিম সেবনকে নিয়ন্ত্রণে আনা, প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি মহিলাদের ভোটাধিকার বিষয়ক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিপিনচন্দ্র বিশেষ ভূমিকা নিলেন। সদনে উপস্থিত সিলেটের কৃষ্ণসুন্দর দাম, আসাম উপত্যকার নীলমণি ফুকনের মতো কংগ্রেসি নেতারা। সুনামগঞ্জের ব্রজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী আর কাছাড়ের খান সাহেব রাশিদ আলি লস্করের সঙ্গে বিপিনচন্দ্রের সখ্য এত ঘনিষ্টতার দিকে গেল যে তিনি নির্ধারিত সরকারি আসন ছেড়ে এদের সঙ্গে এক সারিতেই বসে গেলে এ নিয়ে বিস্তর হাসি ঠাট্টা মস্করাও হয়ে গেল।

 ওদিকে পরিষদের বাইরে আসামের রাজনৈতিক পরিস্থিতে একটা নতুন ব্যাপার ঘটতে থাকে। পরিষদীয় রাজনীতির অংশীদার হতে অস্বীকার করে যাঁরা বাইরে রয়েছেন এরা ভিড়েছেন চিত্তরঞ্জন দাশের ‘স্বরাজ্য দলে।’ গান্ধির সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হওয়ায় তরুণরাম ফুকন, রোহিনীকুমার