চৌধুরী, গোপীনাথ বরদলৈ, বিষ্ণুরাম মেধী, কামাখ্যা বরুয়া, ধানীরাম তালুকদার, যাদবচন্দ্র দাস মিলে গঠন করেছেন দলের আসাম সমিতি। মূল কংগ্রেসের মধ্যে থেকেও এরা একটু স্বতন্ত্র। বিপিনচন্দ্র খবর পেয়েছেন তাঁর ভ্রাতা এদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে।
এদিকে নিজের শরীরের অবস্থাও আগেকার মতো নেই। বছরে তিন চার বার শিলং আর আর বাড়ি, বাড়ি আর লক্ষীপুর দৌড়ের ধকল সহ্য করার ক্ষমতাও কমে আসছে। আর প্রিয় অনুজকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এ স্বপ্ন কি আবার ভাঙতে চলল? এদের সঙ্গে চললে বিধান পরিষদে তাঁর কী কোনও ভবিষ্যৎ হতে পারে? হোক না ইংরেজ বিরোধী স্বদেশি, তবুও তাঁর মতো নেতৃত্বেরই যে দরকার আমাদের এ অঞ্চলের জন্য। কী নেই তাঁর? বিদ্যা, বুদ্ধি, বাক্চাতুর্য আর সাংগঠনিক দক্ষতায় তাঁর সমকক্ষ আর ক’জন আছে কংগ্রেসে? চেহারাখানা যেমন রাজপুত্রের মতো, কণ্ঠস্বরও তেমনি সুমধুর।
আজকাল বিপিনচন্দ্র মাঝে মাঝেই ভাবেন ভিতরে ভিতরে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। হাতে দিনও আর বোধহয় বেশি নেই। অনেক কাজই তো বাকি রয়ে গেল। দেশের কাজ এবং পারিবারিক কাজও সবার মুখে শুনেন ইংরেজ রাজত্ব আর বেশি দিন নেই। কেমন যেন স্বপ্নের মতো মনে হয় এসব কথা। বিগত আশি বছরে ইংরেজ রাজত্ব যে মানুষের রক্তের ভেতর ঢুকে গেছে। একদিন পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ মহোদয় তাঁর ইংরেজিয়ানা দেখে হেসেছিলেন, কিন্তু এখন তো সাল গণনায় সেই খ্রিস্টাব্দেই মানুষ অভ্যস্ত। শকাব্দ তো অনেক আগেই গেছে। বঙ্গাব্দের ব্যবহার সীমিত হয়ে আসছে। আর আইন পরিষদে ক’জনই আর বাংলায় বক্তব্য রাখেন? তিনি নিজেই তো ইংরেজির উপর নির্ভরশীল। কী জানি এরা যদি কোনওদিন ক্ষমতায় আসে, নিজের