পাতা:ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা - সঞ্জীব দেবলস্কর (২০২৩).pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা
১০৯

বেশ কয়েকজন বিধায়কের মধ্যে ভিতরে ভিতরে বঙ্গভুক্তির প্রশ্নে একটা দু’টানার ভাবও।

 বিপিনচন্দ্র একমনে সব শুনেই যাচ্ছেন। কই? কাছাড় নিয়ে তো কোনও ভাবনা কারও নেই মনে হল। এ বিষয়ে সব চাইতে গ্রহণযোগ্য মতামত দিতে পারতেন যিনি, তিনি হলেন কামিনী চন্দ মশাই। তিনি অবশ্য এখন ‘কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে।’ প্রসঙ্গক্রমে এল ‘বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য আব্দুল করিম সাহেবের কথা। তাঁর অভিমত, চারটি দশক আসামের সঙ্গে থেকেও অসমিয়া-বাঙালির মধ্যে কোনও সম্পর্কই গড়ে উঠল না। ঐক্যের তো প্রশ্ন নেইই। সিলেটকে বাংলায়ই আনা হোক।

 এত কূট ক্যাচাল কাছাড়ের এই সন্তানের মাথায় কতটুকু ঢুকল তিনি নিজেই বুঝলেন না। তবে তিনদিন পর বিধান পরিষদে আলোচনাকালীন আচমকা বলে উঠলেন, আসামের সঙ্গে থাকলে যত সহজে সরাসরি গভর্নর বাহাদুরের দরবারে তাঁরা পৌঁছতে পারেন, বঙ্গদেশে সেটা কি সম্ভব হবে?

 এ কথা শুনে তাঁর অনুগামীরা পড়লেন বিভ্রান্তিতে। রায়বাহাদুর কি তবে রি-ইউনিয়নের বিপক্ষে?

 একজন পেছন থেকে টিপ্পনিও কাটলেন,

 —এটাও ঠিক, বাংলার গভর্নর বাহাদুর তো আর কাছাড়ের জমিদার রায়বাহাদুরের পরামর্শের জন্য বসে থাকতে পারেন না।

 আসাম ভ্যালির সদস্যরাও বিব্রত। ওঁরা তো ভেবেছিলেন সিলেটের বঙ্গভুক্তি একটা আশীর্বাদ হয়ে আসবে। বিগত দিনগুলোতে সদনে যেন নিয়ম করেই সিলেটিরা সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ওদের উকিল, জমিদার আর উচ্চশিক্ষিত সদস্যদের