মুখের সামনে কে দাঁড়াতে পেরেছে? কটন কলেজ গ্রেড ওয়ান হয়েছে, অতএব মুরারিচাঁদ কলেজকেও গ্রেড ওয়ানে আনা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় বলুন, হাইকোর্ট বলুন সবকিছুই হতে হবে সিলেটে। কাঁহাতক এসব সহ্য করা যায়? সদানন্দ দোয়ারা মশাই রেগেমেগে ঠিকই বলেছিলেন, With Sylhet in Assam - there will be no policy- and unless there is a fixed policy there can not be any progress। এত জটিলতা সিলেটিদের গা সওয়া হলেও কাছাড়ি জমিদারের কাছে বিষয়টি দুর্বিসহ। তিনি স্পষ্টীকরণ দিয়ে বললেন, তিনি তো প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন না, কয়েকটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন মাত্র। তবে এটাও জানালেন কাছাড়ের কোন কথা তো প্রস্তাবের বয়ানে নেই। তাঁকে ঠাণ্ডা করতে মূল প্রস্তাবে “and Cachar” শব্দ দুটো সংযোজন হল। অর্থাৎ শুধু সিলেট নয় কাছাড়কেও রি-ইউনিয়নে সামিল করা হল। কাছাড় শব্দটি যোগ হওয়াতে সরকারি প্রতিনিধি মি. জে ওয়েবস্টার আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন, কাছাড় যদি চলে যায়, তবে লুশাই পাহাড় যে আসাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আর বেঙ্গলের সঙ্গে গেলে কাছাড়ের ভবিষ্যৎই বা কী হবে?
টিপ্পনি কেটে উঠলেন আলাউদ্দিন আহমেদ,
—কাছাড়? কাছাড় নিয়ে ভাবনার কী আছে? কাছাড় তো সর্বাবস্থায় মহাশূন্যেই ভাসবে। এটা তার ভবিতব্য। তার চাইতে বড় কথা হইল, আমরা যে কাছাড় সহ, না আরও কিছু অঞ্চল আছে কে জানে, বাংলার সঙ্গে যাইতেছি, এতে বাংলার কী অভিমত? একবার ঘর হইতে বিদায় হইলে আবার ঘরে ঢোকা বড়ো মোটা কথা। দেখইন না বাদা-ছাড়া অইলে পক্ষীরা পর্যন্ত বাইচ্চারে ঠুকরাইয়া মারি লায়। ত্রিশ বছর আগে ঘর হইতে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন কে জায়গা দিবে? এই বাঙালি সেই আঠারোশো