উঠে প্রণাম করে বিদায় নিয়ে বাড়িতে পৌঁছানো মাত্রই ডাকপিয়ন হাতে তুলে দিল একখানা চিঠি। বন্ধখাম ছিঁড়ে বের করতেই দেখা গেল স্বরাজ্য দলের সভাপতি শ্রী তরুণরাম ফুকন মহাশয়ের অভিনন্দন। যতীন্দ্রমোহনকে এবার নির্বাচনী ঝামেলায় যেতে হচ্ছে না। তৃতীয় আইন পরিষদে শিলচর নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে স্বরাজ্য দলের পক্ষে তাঁর প্রার্থিত্বে এবার কোনল প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অতএব...। মনে হল এক্ষুনি ছুটে যান পশ্চিমের বাড়িতে। কিন্তু না, এখনও তো সরকারি ঘোষণার বাকি। এটা তো প্রাথমিক খবর।
ধীরে সুস্থে চান খাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঢুকে সুরুচি দেবীর সামনে চিঠিটা খুলে ধরে বললেন,
—পড়ো।
—আমার সঙ্গে তামাশা করছ? আমি ইংরেজি পড়তে পারি নাকি?
—কেন? সেদিন যে খুব লিখেছিলে, ‘ইংরেজি বাহিরনামা আমি নিজে লিখেছি’।
—ওঃ ওই পর্যন্তই। এর বেশি আর পারছি কই? পারছি কই? তোমার তো সময়ই হয় না।
—এসব বললে চলবে না, এখন তোমাকে ইংরেজি শিখতে হবে। আমি শিলঙে আইন পরিষদে সদস্য হতে চলেছি।
—কী বলছ? পড়ে বোঝাও। তবে আগে বলো ওবাড়ির ভাসুর ঠাকুরকে কেমন দেখলে?
কথাটি আর শেষ হল না। বাইরের থেকে মোবেশ্বর আলির ‘বাবু, বাবু’ দুইটি ডাকেই সারা বাড়ি যা বোঝার বুঝে নিল। নিমেষের মধ্যে সারা গ্রাম উত্তাল হয়ে উঠল, রায়বাহাদুর আর নেই। মানুষজনের হাঁক