পাতা:ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা - সঞ্জীব দেবলস্কর (২০২৩).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা

কামরূপ কামাখ্যার দেশ এবং জৈন্তেশ্বরী ভূমি পদানত করার পর সাগরপারের বণিক্য জাতি ইংরেজ সাহেবদের নজর এবার ভারতবর্ষের পূর্বতম প্রান্তে স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্য কাছাড়ের দিকে। অবশ্য আরও পূর্বে রয়েছে স্বাধীন মণিপুর রাজ্যও। তবে আগে হেড়ম্ব রাজ্য বিজয় হয়ে যাক, তার পর ওদিকে দৃষ্টিপাত করা যাবে।


বাপদাদার মুখে শোনা কাহিনিতে মজে গেলেন মহামহোপাধ্যায়। বলে যাচ্ছেন রায়বাহাদুর। অতিথির কৌতূহল নিবারণ করতে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও আসতে হল পারিবারিক কথায়।

 মহারাজের মৃত্যুর দুই বছর পর এক বিশেষ দিনে কাছাড়ের বাজারে বাজারে কোম্পানির সিপাইসহ পঞ্চায়েতের পাইক ঢোলক বাজিয়ে জানান দিল: “আজি ১২৩৯ সাল, শ্রাবণ সংক্রান্তি হইতে ইংলেণ্ডেশ্বরীর প্রতিনিধি ভারতের মহামান্য গভন্নর বাহাদুরের আদেশ মোতাবেক মুলুক কাছাড়ের প্রজাসাধারণের মঙ্গলার্থে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এই রাজ্যকে কোম্পানির আওতায় আনিলেন।” খ্রিস্টানদের পঞ্জিকা মতে দিনটি ছিল ১৮৩২ এর ১৪ আগস্ট। তোড়জোড় শুরু হল সর্বত্র। অরণ্য জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসতে শুরু করল। বার্তা পৌঁছে গেল সুরমা নদীর তীরে, দলে দলে শাহজালাল আর মহাপ্রভুর অনুগামীরা এদিকে পাড়ি জমাতে শুরু করলেন। জমির বন্দোবস্ত দেওয়া হচ্ছে দুধপাতিলস্থ কাপ্তান ফিশার সাহেবের কুঠি থেকে। যার যার সামর্থ অনুযায়ী সামান্য কিছু নজরানা নিয়ে মানুষ ছুটল দুধপাতিল অভিমুখে। নিজস্ব সনন্দখানা নিয়ে হাজির হলেন রায়বাদুরের কোনও এক পূর্বসুরি নতুন প্রশাসক সুপারিনটেণ্ডেণ্ট সমীপে। ছুটে গেলেন দেশমুখ্য, মজুমদার, বড়ভুইঞাঁ আর ছোটবড়ো মাঝারি জমিদার, মিরাশদারের দল। খবর পৌঁছে গেল