বালক যতীন্দ্রকে জড়িয়ে ধরলেন বিদ্যাবিনোদ,
—বেঁচে থাকো বাবা। দেশের মুখ উজ্জ্বল করো।
কনিষ্ঠ ভ্রাতার জন্য গর্বিত বিপিনচন্দ্র বললেন,
—আপনার আশীর্বাদ থাকলে...।
আর বলতে পারলেন না বাকরুদ্ধ অগ্রজ।
৮
বিশ শতকের প্রথম দশকে হঠাৎ যেন মধ্যযুগের খোলস ছেড়ে নতুন যুগের আত্মপ্রকাশ ঘটতে থাকল চোখের সামনেই। ব্রিটিশ প্রশাসনের অন্তর্গত এই জেলাটি জেগে উঠল নতুন উদ্যমে। কর্ম উপলক্ষে এলেন ঢাকা জেলার উপেন গুহ মশাই। সাব ইন্সপেক্টর অব স্কুলস। সমতল আর পার্বত্য কাছাড়ের অন্দরে কন্দরে ঘুরে বেড়িয়েছেন বহুভাষায় পারদর্শী এ বিদ্বান ব্যক্তিটি। কাছাড়ি মণিপুরি নাগা হাজো জনজাতির জীবনযাত্রা, ইতিহাস ও সমাজের কত কিছুই না তিনি জানেন। গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে লিখেছেন গ্রন্থ, ‘কাছাড়ের ইতিবৃত্ত’। নিজ জেলা, ঢাকার সরস্বতী প্রেস থেকে প্রকাশিত এ বইটির মূল্য মাত্র পাঁচ সিকে। প্রকাশ হতে না হতেই বইটি কাছাড়, মাইবং, হাফলং পেরিয়ে পৌঁছে গেল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি অবধি। এদিকে মহামহোপাধ্যায় পদ্মনাথ ভট্টাচার্যও কলিকাতা থেকে ছাপিয়ে আনলেন সচিত্র গ্রন্থ ‘হেড়ম্ব রাজ্যের দণ্ডবিধি’। জাতীয় জীবনে যেন সঞ্চার হল নবচেতনার। বিপিনচন্দ্রও তাঁর কথা রেখেছেন। গ্রন্থটির মুদ্রণের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার তিনিই বহন করলেন। হেড়ম্বভূমি জীবন্ত হয়ে উঠল ইতিহাসের পাতায়।
ওদিকে করিমগঞ্জের মইনাগ্রামের আরেক পণ্ডিত চৌধুরী অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধি দুই খণ্ডে বের করলেন এক মহাকাব্যোপম ইতিহাস গ্রন্থ, ‘শ্রীহট্টের