ফেরত দেবেন। প্রকাশিত ‘হেড়ম্ব দণ্ডবিধি’ গ্রন্থে অবশ্য সব কিছুর প্রতিলিপি স্পষ্ট ভাবেই এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি মামলার সূত্রে যে মূল নথিগুলোর প্রয়োজন।
পূর্বপুরুষের প্রতিষ্ঠাতা দেবী নিমাতার সম্পত্তি, মন্দিরের মালিকানা, প্রতিষ্ঠার দাবিদার এসব নিয়ে পুরোহিত বংশের উকিল জেলা আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। বিপিনচন্দ্র বিশেষ গা করেন নি প্রথম দিকে। নইলে বন্ধুবর কামিনীকুমার চন্দ, মহেশচন্দ্র দত্তদের পরামর্শ নিতেন। এবার মামলাটি গেল কলিকাতা হাইকোর্টে।
জমিদারবাবুকে গ্রামের ভদ্রাসন ছেড়ে ছুটে যেতে হল তৎকালীন রাজধানী শহর কলিকাতায়। যদিও তিন বছর আগেই রাজধানী স্থানান্তরিত হয়ে গেছে দিল্লিতে, তবুও এদিকে সবার কাছে কলিকাতাই রাজধানী নগরী। ভাঙ্গা স্টেশনে উঠে করিমগঞ্জ হয়ে সিলেট এবং অতঃপর গোয়ালন্দ থেকে রেলগাড়িতে কলিকাতা
মহানগরীতে এক মেসবাড়ির ঠিকানা নিয়ে গেছেন। এখানে সুরমা উপত্যকার ছাত্র যুবদল সব একসঙ্গে থাকেন। এ বাড়িতে উঠে বিপিনচন্দ্র মামলায় লড়বার জন্য একজন বিচক্ষণ উকিলের সন্ধান করলেন। এ সূত্রেই পরিচিত হলেন দুই ব্যক্তির সঙ্গে। কলিকাতা মহানগরীতে এক ডাকে সবাই তাঁদের চেনে। একজন বিপিনচন্দ্র পাল, অপরজন ড. সুন্দরীমোহন দাস। দুজনেই সিলেটের সন্তান। এদের কাছে কাছাড় বেশ একটা রহস্যময় স্থানও বটে। ওরা জানেন এই তো সেদিন পর্যন্ত এখানে রাজদরবার বহাল ছিল। বার্মা সেনার আগ্রাসন, লুসাই অন্তর্ঘাত, বিদ্রোহী সিপাহিদের অভিযান এসব নিয়ে সচেতন বাঙালির কাছে কাছাড় একটি বিশেষ কৌতূহল উদ্দীপক অঞ্চল। চারণ কবি মুকুন্দদাস তাঁর গানের এক কলিতে আবার কাছাড়কে মহীয়ান করে তুলেছেন—‘রামা আজ দিল্লি যাবেন শ্যামা যাবেন কাছাড়—স্টারে নাচবে কুসুমকুমারী, আ মরি খবরের বাহার।’ সিলেটের