আমার বংশে তুমার বংশরে পালন করিব
মহা ২ অপরাধ পাইলে ৭ শাঠা
অপরাধ খেমিআ উছিত দণ্ড করিমু।
কী বলছে এই অভয়পত্র? এটা তো ‘সাতখুন মাফে’র ফরমান। সম্পাদিত গ্রন্থটিতে সহজ আধুনিক বোধগম্য হরফে এই বয়ান পড়তে পড়তে বিপিনচন্দ্রের মন বিদ্যাবিনোদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠল। এত দিন লোহার সিন্দুকে সযত্ন রক্ষিত নথিগুলোর মর্মোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনি নিজেকেই বলতে লাগলেন,
—সাত সাতটি ‘মহাঅপরাধ’ মানে উকিলদের ভাষায় ‘সেভেন হোমিসাইড’। এটা তো কম কথা নয়।
শরীর রীতিমতো রোমাঞ্চিত হয়ে উঠল। এ ক্ষমতার অধিকারী তো তিনিও হতে পারতেন যদি সেই রাজ্যপাট আজ বহাল থাকত:
এখন অবধি তুমার উজিরর বেটা ও নাতি ও
পরিনাতি তার ধারাসুত্র ক্রমে
এই উজির হৈআ জাইব আর ইত্যাদি।
হায় হায়! সেই রাজা নাই, রাজ্য নাই, আছে এ অভয়পত্র। আছে সেই দৃপ্ত অঙ্গীকার—
(যত দিন) তুমার বংশে আমার নুণ যে কবুল করে
শ্রীরঁ এই খাতিলজমা না ডুলিম
(এই) সাত সত্য এ তধক্তে খাতিলজমা পত্র দিলাম
ই [তি শক ১৬] ৫৮ তারিক ২৯ ভাদ্র অস্য।
কিন্তু হায়! এই বিশ্বস্ততা কি আমরা রক্ষা করতে পেরেছি? বিপিনচন্দ্র লজ্জিতই হলেন যখন দেখলেন কে যে সেদিন ওই রাজকীয় সনন্দ দুটোর গায়ে টমাস ফিশার সাহেবের সিল সই করিয়ে এনেছেন। বুকের মধ্যে খচ্খচ্ করে উঠল স্বাক্ষরিত ওই পঙক্তিটি দেখে—